বিষয়বস্তুতে চলুন

বৈদিক পুরাণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার বর্তমান সংস্করণ, যা Gc Ray (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৩:১৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক।

(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বৈদিক পুরাণ বলতে বোঝায় ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মবৈদিক সাহিত্যের পৌরাণিক দিকগুলি। এই দিকগুলি ঋগ্বেদের স্তোত্রগুলিতে পরোক্ষভাবে উল্লিখিত হয়েছে। বৈদিক ক্রিয়াকাণ্ডের ভিত্তিতের গড়ে ওঠা কেন্দ্রীয় পৌরাণিক কাহিনিটি ইন্দ্রকে কেন্দ্র করে রচিত। তিনি সোম পান করে উল্লসিত হন, বৃত্র নামক "অহি"কে (দৈত্য) বধ করে নদনদী, গো ও উষাকে মুক্ত করেন।

বৈদিক গাথায় এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা পারস্য, গ্রিক, রোমান প্রভৃতি ইন্দো-ইউরোপীয় পৌরাণিক প্রথা এবং কেল্টিক, জার্মানিক, বাল্টিক ও স্লাভিক জাতিগোষ্ঠীর পুরাণগাথাতেও পাওয়া যায়। বৈদিক দেবতা ইন্দ্র অংশত দ্যৌস পিতৃ, স্কাই ফাদার, জিউস, জুপিটার বা পেরুনের সমতুল্য চরিত্র। মৃত্যুর দেবতা যম হলেন পারস্য পুরাণের যম। বৈদিক স্তোত্রগুলি এই দেবতা দ্বয় এবং আরও কয়েকজন দেবতার স্তুতি করেছে। বেদে দেবতার মোট সংখ্যা ৩৩ ধরা হয়। এর মধ্যে ৮ জন বসু, ১১ জন রুদ্র, ১২ জন আদিত্য ও পরবর্তী ঋগ্বৈদিক দেবতা প্রজাপতিও আছেন। এঁরা স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল লোকের দেবতা। বৈদিক প্রথার কয়েকজন প্রধান দেবতা হলেন ইন্দ্র, সূর্য, বায়ু, বরুণ, মিত্র, অদিতি, যম, সোম, সরস্বতী, পৃথিবীরুদ্র[]

পৌরাণিক সাহিত্যে বেদ

[সম্পাদনা]

বিষ্ণুপুরাণ অনুসারে, বেদের বর্তমান বিভাগকর্তা হলেন ব্যাস[] পৌরাণিক সাহিত্য অনুসারে, বেদ একটিই ছিল। পরে সেটি চারটি (মতান্তরে তিনটি) ভাগে ভাগ করা হয়। বিষ্ণুপুরাণ (৩। ২। ১৮, ৩। ৩। ৪ ইত্যাদি) অনুসারে, দ্বাপর যুগে ব্যাসরূপে বিষ্ণু বেদকে তিনটি বা চারটি ভাগে বিভক্ত করেন। এই ভাগগুলিকে তিনি অসংখ্য শাখায় বিভত করেছিলেন। বায়ুপুরাণ (অংশ ৬০) অনুসারে, ব্রহ্মার অনুরোধে ব্যাস বেদের এই বিভাজন করেন। ভাগবত পুরাণ (১২। ৬। ৩৭) অনুসারে, আদি বেদের উৎস ওঁ অক্ষরটি। এই পুরাণ মতে, দ্বাপর যুগে মানুষের বয়স, গুণ ও বোধশক্তির অধঃপতনের জন্য আদি বেদ চার ভাগে বিভক্ত করা হয়। ভাগবত পুরাণের অন্য একটি কাহিনি (৯। ১৪। ৪৩) অনুসারে, ত্রেতা যুগের সূচনায় রাজা পুরুরবা আদি বেদকে ("ওঁ") তিন ভাগে ভাগ করেছিলেন।

বেদের চারটি ভাগ হল ঋক্‌, সাম, যজুঃ ও অথর্ব। ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলি হল স্তোত্রের সংকলন। এগুলিই ঋগ্বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কে তথ্যের প্রধান উৎস। সামবেদের গানগুলি পুরোপুরিই অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত সংগীতের সংকলন। সামবেদের স্তোত্রগানগুলি সুরে গাওয়া হত। এগুলির সবকটিই ঋগ্বেদ থেকে আহৃত এবং এগুলি কোনো আলাদা শিক্ষা বহন করে না। যজুর্বেদের স্তোত্রগুলি আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকাণ্ডের উপযোগী। আনুষ্ঠানিক ধর্মের প্রয়োজন মেটাতে এগুলি আলাদা করে সংকলিত করা হয়েছে। অথর্ববেদের মন্ত্রগুলি অন্য তিনটি বেদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ইতিহাস ও সমাজতত্ত্ব-সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে এই বেদের স্থান ঋগ্বেদের পরেই।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Macdonell, Arthur Anthony (১৯৯৫)। Vedic Mythology। Delhi: Motilal Banarsidass। আইএসবিএন 81-208-1113-5 
  2. Horace Hayman Wilson (trans) (১৮৪০)। "Ch IV"। Vishnu Purana 

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]
  1. Buitenen, J. A. B. van; Dimmitt, Cornelia (১৯৭৮)। Classical Hindu mythology: a reader in the Sanskrit Puranas। Philadelphia: Temple University Press। আইএসবিএন 0-87722-122-7 
  2. Wilkins, W.J. (১৮৮২)। Hindu mythology, Vedic and Purānic। Thacker, Spink & co.। 
  3. Williams, George (২০০১)। Handbook of Hindu Mythology। ABC-Clio Inc। আইএসবিএন 1-57607-106-5