বিষয়বস্তুতে চলুন

সমবসরণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তীর্থংকরের সমবসরণ

সমবসরণ (সংস্কৃত: समवसरण, অনুবাদ'সকলের আশ্রয়') বা সমোসরণ, জৈনধর্মে, হলো তীর্থংকরের ঐশ্বরিক প্রচার হল, এতে ২০,০০০-এর বেশি সিঁড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সমবসরণ শব্দটি দুটি শব্দ থেকে এসেছে, সম, যার অর্থ সাধারণ এবং অবসর, যার অর্থ সুযোগ।

এটি জৈন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।[] সমবসরণ আদি জৈন স্তূপকে উপাসনার বস্তু হিসেবে প্রতিস্থাপন করেছে বলে মনে হয়।[]

বিবরণ

[সম্পাদনা]
তীর্থংকর ঋষভনাথ (অজমের জৈন মন্দির) এর সমোসরণ।

সমবসরণে, তীর্থংকর সিংহাসনে স্পর্শ না করেই বসেন (এর প্রায় দুই ইঞ্চি উপরে)।[] তীর্থংকরের চারপাশে গণধরগণ (প্রধান শিষ্য) বসেন। অন্যান্যরা নিম্নলিখিত ক্রমে বসেন:[]

  • প্রথম কামরায় তপস্বীগণ
  • দ্বিতীয় কামরায় এক শ্রেণীর নারী দেবতাগণ
  • তৃতীয় কামরায় আৰ্যিকাগণ এবং সাধারণ মহিলারা
  • পরের তিন কামরায় আরও তিন শ্রেণির নারী দেবতাগণ
  • পরের চারটি কামরায় চার শ্রেণীর দেবগণ (স্বর্গীয় মানুষ)
  • একাদশ কামরায় পুরুষরা
  • শেষ কামরায় অন্যান্য প্রাণীরা

জৈন ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, চারটি প্রশস্ত রাস্তা থাকবে যেখানে চারটি বিশাল স্তম্ভ থাকবে, মনস্তম্ভ (আক্ষরিক অর্থে, গর্ব স্তম্ভ), প্রতিটির পাশে একটি করে।[] সেই যুগে মানুষের উচ্চতার উপর নির্ভর করে হলের মোট আকার পরিবর্তিত হয়। ঋষভনাথের সমবসরণের আয়তন ছিল ১২ কিমি (৪.৬ মা)।[]

প্রভাব

[সম্পাদনা]
সমবসরণ

সমবসরণে, তীর্থংকর পূর্ব দিকে মুখ করে বসে থাকেন, কিন্তু সব দিকে তাকিয়ে থাকেন।[] সরল ভাষায় জৈন দর্শন প্রচার করার সময় তীর্থংকর নরম কুশনে বসেন।[] সকল মানুষ ও প্রাণীই বক্তৃতা বুঝতে পারে। জৈন শাস্ত্র বলে যে সমস্ত প্রাণী যারা শুনবে তারা কম হিংস্রকম লোভী হয়ে উঠবে।[] তীর্থংকরের বক্তৃতা উপস্থিত প্রত্যেকেই স্পষ্টভাবে শুনতে পায়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Wiley 2009, পৃ. 184।
  2. Shah, Umakant Premanand (১৯৮৭)। Jaina-rūpa-maṇḍana (ইংরেজি ভাষায়)। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 15–17। আইএসবিএন 978-81-7017-208-6 
  3. Jain 2008, পৃ. 95।
  4. Jain 2008, পৃ. 96।
  5. Jain 2008, পৃ. 93।
  6. "APPENDIX 14"jainworld.com 
  7. Jain 2008, পৃ. 98।
  8. Pramansagar 2008, পৃ. 39-43।
  • Jain, Champat Rai (২০০৮), Risabha Deva (Second সংস্করণ), India: Bhagwan Rishabhdeo Granth Mala, আইএসবিএন 9788177720228 
  • Pramansagar, Muni (২০০৮), Jain Tattvavidya, India: Bhartiya Gyanpeeth, আইএসবিএন 978-81-263-1480-5 
  • Vyas, Dr. R. T., সম্পাদক (১৯৯৫), Studies in Jaina Art and Iconography and Allied Subjects, The Director, Oriental Institute, on behalf of the Registrar, M.S. University of Baroda, Vadodara, আইএসবিএন 81-7017-316-7 
  • Wiley, Kristi L. (২০০৯), The A to Z of Jainism, Scarecrow Press, আইএসবিএন 9780810868212 

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]
  • Champat Rai Jain (১৯২৯)। "X: THE SAMAVASARANA"। Risabha Deva - The Founder of Jainism। K. Mitra, Indian Press, Allahabad। পৃষ্ঠা 126 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]