সমবসরণ
জৈনধর্ম |
---|
ধর্ম প্রবেশদ্বার |
সমবসরণ (সংস্কৃত: समवसरण, অনুবাদ 'সকলের আশ্রয়') বা সমোসরণ, জৈনধর্মে, হলো তীর্থংকরের ঐশ্বরিক প্রচার হল, এতে ২০,০০০-এর বেশি সিঁড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সমবসরণ শব্দটি দুটি শব্দ থেকে এসেছে, সম, যার অর্থ সাধারণ এবং অবসর, যার অর্থ সুযোগ।
এটি জৈন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।[১] সমবসরণ আদি জৈন স্তূপকে উপাসনার বস্তু হিসেবে প্রতিস্থাপন করেছে বলে মনে হয়।[২]
বিবরণ
[সম্পাদনা]সমবসরণে, তীর্থংকর সিংহাসনে স্পর্শ না করেই বসেন (এর প্রায় দুই ইঞ্চি উপরে)।[৩] তীর্থংকরের চারপাশে গণধরগণ (প্রধান শিষ্য) বসেন। অন্যান্যরা নিম্নলিখিত ক্রমে বসেন:[৪]
- প্রথম কামরায় তপস্বীগণ
- দ্বিতীয় কামরায় এক শ্রেণীর নারী দেবতাগণ
- তৃতীয় কামরায় আৰ্যিকাগণ এবং সাধারণ মহিলারা
- পরের তিন কামরায় আরও তিন শ্রেণির নারী দেবতাগণ
- পরের চারটি কামরায় চার শ্রেণীর দেবগণ (স্বর্গীয় মানুষ)
- একাদশ কামরায় পুরুষরা
- শেষ কামরায় অন্যান্য প্রাণীরা
জৈন ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, চারটি প্রশস্ত রাস্তা থাকবে যেখানে চারটি বিশাল স্তম্ভ থাকবে, মনস্তম্ভ (আক্ষরিক অর্থে, গর্ব স্তম্ভ), প্রতিটির পাশে একটি করে।[৫] সেই যুগে মানুষের উচ্চতার উপর নির্ভর করে হলের মোট আকার পরিবর্তিত হয়। ঋষভনাথের সমবসরণের আয়তন ছিল ১২ কিমি২ (৪.৬ মা২)।[৬]
প্রভাব
[সম্পাদনা]সমবসরণে, তীর্থংকর পূর্ব দিকে মুখ করে বসে থাকেন, কিন্তু সব দিকে তাকিয়ে থাকেন।[৪] সরল ভাষায় জৈন দর্শন প্রচার করার সময় তীর্থংকর নরম কুশনে বসেন।[৭] সকল মানুষ ও প্রাণীই বক্তৃতা বুঝতে পারে। জৈন শাস্ত্র বলে যে সমস্ত প্রাণী যারা শুনবে তারা কম হিংস্র ও কম লোভী হয়ে উঠবে।[৮] তীর্থংকরের বক্তৃতা উপস্থিত প্রত্যেকেই স্পষ্টভাবে শুনতে পায়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Wiley 2009, পৃ. 184।
- ↑ Shah, Umakant Premanand (১৯৮৭)। Jaina-rūpa-maṇḍana (ইংরেজি ভাষায়)। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 15–17। আইএসবিএন 978-81-7017-208-6।
- ↑ Jain 2008, পৃ. 95।
- ↑ ক খ গ Jain 2008, পৃ. 96।
- ↑ Jain 2008, পৃ. 93।
- ↑ "APPENDIX 14"। jainworld.com।
- ↑ Jain 2008, পৃ. 98।
- ↑ Pramansagar 2008, পৃ. 39-43।
উৎস
[সম্পাদনা]- Jain, Champat Rai (২০০৮), Risabha Deva (Second সংস্করণ), India: Bhagwan Rishabhdeo Granth Mala, আইএসবিএন 9788177720228
- Pramansagar, Muni (২০০৮), Jain Tattvavidya, India: Bhartiya Gyanpeeth, আইএসবিএন 978-81-263-1480-5
- Vyas, Dr. R. T., সম্পাদক (১৯৯৫), Studies in Jaina Art and Iconography and Allied Subjects, The Director, Oriental Institute, on behalf of the Registrar, M.S. University of Baroda, Vadodara, আইএসবিএন 81-7017-316-7
- Wiley, Kristi L. (২০০৯), The A to Z of Jainism, Scarecrow Press, আইএসবিএন 9780810868212
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Champat Rai Jain (১৯২৯)। "X: THE SAMAVASARANA"। Risabha Deva - The Founder of Jainism। K. Mitra, Indian Press, Allahabad। পৃষ্ঠা 126।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]জৈনধর্ম বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |