মূল সংঘ
অবয়ব
জৈনধর্ম |
---|
ধর্ম প্রবেশদ্বার |
মূল সংঘ (সংস্কৃত: मूलसंघ) হল একটি প্রাচীন জৈন সন্ন্যাসী সংঘ।[১] 'মূল' শব্দের আক্ষরিক অর্থ 'শিকড়'।
মূল সংঘই হল প্রধান দিগম্বর জৈন সংঘ।[২] বর্তমান কালে দিগম্বর জৈন সম্প্রদায় ও মূল সংঘ সমার্থক। আচার্য কুন্দকুন্দ মূল সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই সংঘের প্রাচীনতম উল্লেখটি পাওয়া যায় ৪৩০ খ্রিষ্টাব্দে।[৩]
মূল সংঘ কয়েকটি শাখায় বিভক্ত। আচার্য ইন্দ্রনন্দীর শ্রুতাবতার ও ভট্টারকের নীতিসার অনুসারে, আচার্য অর্হদবালী জৈন সন্ন্যাসীদের একটি সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর নামকরণ ('গণ' বা 'সংঘ') করেছিলেন। চারটি প্রধান গোষ্ঠী হল:
- নন্দী গণ, এই গণের দুটি প্রধান উপশাখা রয়েছে:
- বলৎকর গণ, সরস্বতী গচ্ছ (প্রাচীনতম উল্লেখ ১০৭১ খ্রিষ্টাব্দের)
- দেশীয় গণ, পুস্তক গচ্ছ (প্রাচীনতম উল্লেখ ৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে)
- সেন গণ, জিনসেনের শাখা। এটিকে আগে 'পঞ্চস্তুপ' বা 'সুরাষ্ট্র' বলা হত (প্রাচীনতম উল্লেখ ৮২১ খ্রিষ্টাব্দে)
- দেব গণ, অকলঙ্ক দেবের শাখা।
- সিংহ গণ
শ্রবণবেলগোলা ও মুদবিদ্রির ভট্টারকেরা দেশীয় গণের অন্তর্গত। হুমবাজের ভট্টারকেরা বলৎকর গণের অন্তর্গত।
উত্তর ভারতের বিভিন্ন দিগম্বর সংঘ কাষ্ঠ সংঘের অন্তর্গত। মূল সংঘ ও কাষ্ঠ সংঘের আচারগত পার্থক্য সামান্যই।