Sanjib Chattopadhyay (Bengali: সঞ্জীব চট্ট্যোপাধ্যায়) (born February 28, 1936 in Kolkata) is a Bengali novelist and writer of short stories. His style is characterised by use of short satirical sentences mixed with very lively language.
Childhood and education: Sanjib Chattopadhyay spent his childhood in the hilly terrain of Chota Nagpur Plateau under the care of his father after his mother died when he was five. They relocated to Calcutta and he was admitted to Victoria Institution school which he joined at grade seven. He later went to Scottish Church College, Calcutta where he studied chemistry.
Work: The subjects of his fiction are mostly families living in Calcutta city. Within the confines of these homes, he challenges the moral values of the fast-changing middle class of the city. Chattopadhyay frequently uses old men as his protagonists. These aged characters create the spiritual and philosophical edge found in his novels Lotakambal (The Blanket and Quilt) and Shakha Prasakha (Branches). His most famous novella Swetpatharer tebil (The Ivory Table) is an example of his characteristic style of story-telling which mixes tension, dilemma, curiosity, pity, humor, and satire. He has written fiction for children and continues to write for magazines and newspapers. Chattopdhyay current writing is related to Ramkrishna Paramhansa, Sarada Devi and Swami Vivekananda. Some of his major works apart from the above mentioned are: পরমপদকমলে (At His Divine Feet) ক্যান্সার (Cancer) দুটি চেয়ার (Two Chairs) রসেবশে রাখিস মা রসেবশে বেশ আছি রসেবশে তুমি আর আমি (You And I) একে একে (One By One) কলিকাতা আছে কলিকাতাতেই (Calcutta Is In Calcutta) Apart from that his notable juvenile literature includes রুকু-সুকু, বড়মামা-মেজমামা series which are fun-filled and analyse various philosophical aspects of life through the eyes of children.
Awards: Chattopadhyay is the recipient of the Ananda Puraskar in 1981 and the Sahitya Academy Award for his book শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন in 2018.
শ্রীকৃষ্ণ। সহস্র সূর্যের প্রভার ন্যায় তার বিস্তার। তার বিশ্বরূপে সমগ্র জগৎ গলিত স্থলিত। তিনিই আবার প্রেমের দেবতা, সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে রাখেন মর্ত্যলোকের আঙিনা। তিনি মাধব, দ্বারকার জনার্দন, ভক্তের ভগবান সেই পরম পুরুষ। বরেণ্য লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের কলমে এই উপন্যাসটির কেন্দ্রেও সেই তিনি।
স্রেফ একখানা গল্পচ্ছলে ন্যারেটিভের খোঁজে এই বই পড়তে বসলে হতাশা প্রযোজ্য। অনেকেই দেখি এই বইয়ের প্রতি এ কারণেই বিরূপ। বইটির সাহিত্য আকাদেমি পুরষ্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্কের একশেষ। তাদের অভিযোগ খন্ডানোর অভিপ্রায় আমার নেই। উচিত অনুচিতের তর্কের বাইরে, বইটিকে অগ্রজ সাহিত্যিকের কৃষ্ণ প্রেমের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে গ্রহণ করেই আমি সন্তুষ্ট।
বই জুড়ে চলে এক সুদীর্ঘ কথোপকথন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানে কেবলই শ্রোতা, বক্তা রূপে লেখক স্বয়ং। তার মস্তকে উপনীত মনুষ্যকূলের আদিমতম উপাধি, তিনি ভক্ত। এবং সেই ভক্তের মুখে শ্রীকৃষ্ণ শুনছেন তারই কথা। তার জীবনদর্শন, তার লৌকিক-অলৌকিক ক্ষমতাবলী। এই বলার মাঝেই, প্রকৃতির খেয়ালে জাজ্বল্যমান ভারতযুদ্ধের অমৃতসার। কুরুকুলের মারণ যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণের অভিপ্রায়। কোথাও সেই ভক্ত তার পূজনীয় পুরুষকে রাখছেন আদর্শের শীর্ষে, কোথাও আবার দিচ্ছেন সূক্ষ্ম খোঁচা। দেখিয়ে দিচ্ছেন, দেবত্বের এই মহীরুহের ছায়ায় স��বযত্নে লালিত মানবকল্যাণের বীজ। বইটার সঙ্গে তাই দিন খানা ভালোই কাটল।
তবে পুরো যাত্রাই যে মসৃণ, সেই দাবী আমি নিজেও করছি না। কাহিনী বিন্যাস কতকটা অগোছালো, কিছু জায়গায় এসেছে পুনরাবৃত্তি। সাহিত্যিকের সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ নয় বলাই বাহুল্য। তবে তাই বলে, উপন্যাসটিকে সরাসরি "থার্ড ক্লাস" আখ্যা দিয়ে নিজেকে কেউকেটা প্রবৃত্তি করার ইচ্ছে বা কারণ কোনোটাই আমার নেই।
রম্যরচনা ও স্যাটায়ারের বাইরেও, লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ভক্তিমূলক রচনাগুলো তার লেখনীর আরেকটি সত্ত্বা। সেটিকে অদেখা করলে, লেখক বৃত্তির যথার্থ মূল্যায়নের একটি পন্থা আমাদের জন্য বন্ধ হয়ে রইবে। বই জুড়ে তাই ভক্তিরসের মাঝে খুঁজে পাই লেখকের চিরাচরিত স্বরূপ, যেই অনাবিল রসবোধ দ্বারা তিনি বলে ওঠেন, "প্রভু! এ আপনার কী খেলা! গড়া জিনিস ভাঙা! মহাকালে বসে কালকে চিবোচ্ছেন। ছিবড়ে ফেলে দিচ্ছেন এদিকে ওদিকে।"
সেরকমই কোন মায়ায় হাহাকার করে ওঠেন তার প্রাণের ঠাকুরের প্রতি। বলে ওঠেন ব্যথার সুরে, "এসো, এসো, শেষবারের মতো দেখে যাও আমার প্রভুর রূপ, ছবি করে তুলে রাখো কালের ঘরে। আমিও দেখি। একটু পরেই আপনি চলে যাবেন। পড়ে থাকবে ঝরাপাতা, গাছের ভাঙা ডাল।" শেষ পর্যায়ে যা আমার মতন পাঠকের পাষাণ হৃদয়েও তোলে কোন ঝড়ের নিনাদ। এ লেখা তাই কোনো রিভিউ নয়। গঠনমূলক সমালোচনা আরো নয়। এ বইয়ের অনেক ব্যাখ্যা, অনেক নিন্দা, অনেক সম্মান। আমার মত তুচ্ছ পাঠকের মহাভারত চর্চায় এক নতুন সংযোজন। ভালো মন্দের মাঝে এই বই আমার কাছে সুন্দর। এবং এটুকুই সত্যি।
"O Madhusudana, thirty-six years from this day, your friends, family and kinsmen will perish at the hands of one another. And you, you shall roam in the wilderness, alone, away from those whom you love, like an abandoned orphan, and there, unattended, meet your disgraceful death" - Gandhari.
Written originally in Bengali by the renowned Sanjib Chattopadhyay and later brilliantly translated to English by Riddhi Maitri, The Last Few Days of the Blue God was a unique read. Having come across several retellings of Mahabharata and Ramayana, one wouldn't know what to expect when a new mythology hits the market. It's fascinating how mythology stories are narrated in various forms, each interesting in their own manner. The Blue God, is known for his mischievous behaviour, a man desired by countless women for the charisma that he oozes and the one who ultimately controlled the Kurukshetra war. The book begins with death, with mutilated bodies covering the war ground. Gandhari, having lost her family curses Krishna that he too will face a saddening death while the Blue God continues to listen to her calmly.
The book is written skillfully, covering every significant event in Krishna's life. The various avatars he donned over the years and to eventually leading everyone to the Kurukshetra war, each aspect is detailed crisply in this book. It goes back many years, and I was enthralled by how tactfully Krishna played various roles to build a favourable future. The book is well translated, which is a commendable job, including few Sanskrit verses and illustrations. Although this book carries tremendous information, it is in no way a difficult read. Spanning across 157 pages, this can be finished over a weekend. I recommend this to those who enjoy reading mythology.
একজন মুখ্য সাহিত্যিক তাঁর গৌণ সাহিত্যকর্মের জন্য একটি মুখ্য পুরস্কার পেলেন - 'শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন' উপন্যাস পড়ে এমনটাই মনে হলো। সাহিত্য অকাদেমি লোটাকম্বল প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পাওয়ার কথা ছিল। সেই আশির দশকেই।বাঙালিরা গুণীজনকে কদর করতে জানে না - এই অভিযোগ সত্য এবং ধ্রুবসত্য। নতুবা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় তাঁর থার্ড ক্লাস একটা উপন্যাসের জন্য এতো দেরিতে সম্মানিত হতেন না। পাঠকের সম্মান লেখকের সবচেয়ে বড় পাওয়া। তা তিনি অনেক আগেই পেয়েছেন। পাবেনও। পদকপ্রাপ্তির সাথে এর কোনো যোগ নেই।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষ। যাদব শ্রীকৃষ্ণের ব্যাধের হাতে নিহত হওয়ার সাথে, যদুদের অন্তঃকলহে ঝাড়েবংশে লোপ পাওয়ার ঘটনার সঙ্গে পুরো মহাভারতই জড়িত। সমস্ত মহাভারত��� যেন এক শ' পাতায় বর্ণন করলেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। এই বইতে তাঁর স্বভাবসুলভ লেখনীর ছিচেফোঁটাও পাইনি। ভক্তিরসের আধিক্যে সরস সঞ্জীবের হারিয়ে যাওয়া একদম ভালো লাগেনি। একদমই না।
"Draupadi stood there, alone, defenseless. She resembled the numerous women of this country, unsafe and vulnerable, at home and in the world. Surrounding them are scores of Duryodhans and Duhshashans, posing as threats. And justice? As blind now as it was then."
There are numerous retellings of Ramayana and Mahabharata for the new age readers but this book is a different type of mythological fiction that dissects some important events of Mahabharata. The book starts at a point when the war is over. Kauravas had been defeated and the women of the kaurava clan were left without their husbands and sons. Gandhari curses the Lord to suffer a lonely death. And by the end of the book, it becomes true. The title of the book could be little misleading as what constitutes for most part of the book is not about the last few days of the God but about going back in time to reflect upon some key events leading up to the war.
This book is a Sahitya Akademi Award winner, neatly translated from Bengali by Riddhi Maitra with some verses in Sanskrit along with the meaning translated. There are few illustrations as well. Not sure if it was part of the Bengali version too. Overall, a very interesting and informative read.
মহাভারতের সবচেয়ে বর্ণিল চরিত্র কে? শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া কেউ নয়। মহাভারতে তিনি যতটা বর্ণিল তিনি মহাভারতে, তারচেয়ে আরও বর্ণিল হয়েছেন মহাভারতের পরে বিভিন্ন লেখক, চিত্রকর স্বাপ্নিকের কলমে-তুলিতে।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বইয়ের নাম থেকেই বোঝা যায়, তিনি শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে বিশাল কোন রচনা লিখতে বসেন নি। কেবল বলতে চেয়েছেন কৃষ্ণের শেষ সময়ের কথা। স্বাভাবিকভাবেই পাঠক আশা করবে এখানে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর থেকে কৃষ্ণের মৃত্যু পর্যন্ত সময়ের আখ্যান পাওয়া যাবে।
কিন্তু বইটা কিছুদূর পড়ার পরই সংশয় জাগে, আসলে লেখক ঠিক কি বলতে চান। পড়তে গিয়ে দেখা যায় এ রচনার শুরু সত্যই যুদ্ধের শেষ থেকে কিন্তু লেখকা আমাদের নিয়ে যান অনেক পেছনে। অতঃপর ধীরে ধীরে আমরা যেন এসএসসির প্রশ্নোত্তরের মতো সংক্ষেপে একটা গল্প/উপন্যাসের পুরোটা দেখতে পাই।
লেখাটা এমন যে একজন ভক্ত কিংবা যে কোন মানুষ কৃষ্ণের সঙ্গে কথোপকথন করছে। সেখানে মানুষটিই বেশি বলছে, কৃষ্ণ কেবল শ্রোতা। আর সেই কথার মধ্য দিয়েই ভারতকথার সার সংক্ষেপ আমাদের সামনে তুলে ধরলেন লেখক।
সঞ্জীব চৌধুরী মূলত রম্য এবং স্যাটায়ার লেখক। তিনি ��ঠাৎ কৃষ্ণকে নিয়ে কেন লিখলেন জানি না। সেটা বিষয় না, বিষয় লেখাটা কেমন। এক অর্থে, বেশ ভালো। কথোপকথনের মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন মহাভারতের বিভিন্ন সূক্ষ্ম অংশ। সেই সঙ্গে কৃষ্ণের চাতুর্য, পরিকল্পনা, ছলনা ইত্যাদি। কখনও তার প্রশংসা করেছেন, কখনও তার বিরুদ্ধে প্রশ্নও তুলেছেন। এ লেখা পুরোপুরি ভাববাদী নয়, আবার পুরোপুরি বস্তুবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণমূলক লেখাও নয়। বরং, আল্লামা ইকবালের ‘শিকওয়া’ এবং ‘জওয়াব-ই-শিকওয়া’ মনে পড়তে পারে।
নাতিদীর্ঘ বইটি নিয়ে এতো আলোচনার কারন, এই বইয়ের জন্য সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমাদের উপমহাদেশে মাঝে মাঝেই দেখা যায় একজন প্রবীণ শিল্পীকে (যখন তিনি মরণের প্রান্তে, ফলে পুরস্কৃত করা ‘ফরজ’ মনে হয়) তার তুলনামূলক দুর্বল কীর্তির জন্য পুরস্কৃত করা হয়। এটি সম্ভবত তারই একটি দৃষ্টান্ত।
এখানকার সাথে আমি "বইতরণী" গ্রুপেও রিভিউ দিই। সেখানেও সবাই দেখতে পারেন।
#পাঠ_প্রতিক্রিয়া
এই বই পড়ার অনুভূতি একটু অন্যরকম। বইটি যখন পড়া ��ুরু করেছি তখনই জানতাম যে শ্রীকৃষ্ণের শেষ মুহূর্তের কথা যেখানে আসবে সেখানে মহাভারতের কথা আসবে না, এটা হতে পারে না। আর সেই মতোই এই বইয়ের কাহিনীর সূত্রপাতই হচ্ছে কৌরব ও পান্ডবদের মহাযুদ্ধ অর্থাৎ কুরুক্ষেত্র দিয়ে। এখানে কাহিনী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলছেন না। ভগবান এখানে কেবল শ্রোতা। এখানে কাহিনী বলছেন ভগবানের সম্মুখে উপস্থিত এক মনুষ্য ভক্ত। তিনি ভগবানকে তাঁর কাহিনীই শোনাচ্ছেন।
ভগবানের কী কখনও মৃত্যু হয়? হ্যাঁ হয়। আত্মার মৃত্যু হয় না। কিন্তু যে পার্থিব শরীরে তিনি এই ধরাধামে আবির্ভাব করেছিলেন তার মৃত্যু ঘটে কেবল। কালের কাছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই পরাভূত। নিজের পরিবার - পরিজন, সর্বোপরি নিজের বিনাশ তিনি রোধ করতে পারেননি। আর কেনই বা রোধ করবেন? এ সবই তো ভবিতব্য, এ তো তাঁরই মায়া। সেই জন্যই তো গান্ধারী যখন তাঁকে বললেন, " গোবিন্দ! যেহেতু পরস্পর সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত জ্ঞাতি কৌরব ও পান্ডবগণকে তুমি উপেক্ষা করেছ, সেই কারণে তুমিও নিজের জ্ঞাতি - বান্ধবদের বিনাশ করবে।" এই কথা শুনে ভগবান কেবল মৃদু হাসলেন। আসলে তিনি তো সবই জানেন। কোনো কিছুই তো তাঁর অজানা নয়। তিনিই তো সম্পূর্ণ ধ্বংসের জন্য এই যুদ্ধ (কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ) সৃষ্টি করেছেন। তিনি নিজেই সব গড়েন, আবার নিজেই সব ভাঙেন। যখনই ধর্মের গ্লানি ঘটে, অধর্ম বৃদ্ধি পাই, তখনই সেই অধর্মকে নিঃশেষ করতে তাঁর জন্ম হয়। কংসের কারাগার থেকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হওয়া এবং নিজের হাতে যদুবংশের বিনাশ এ সবই তাঁর মায়া। অধর্মকে ধ্বংস করে ধর্ম স্থাপন করার জন্যই তো তাঁর অবতীর্ণ হওয়া। "যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানাং সৃজাম্যহম্। পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্। ধর্ম সংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।"
মহাভারতের কাহিনী কারও অজানা নয়। কিন্তু কয়েকটি তথ্য যা আমি প্রথম জানলাম। উদাহরণস্বরূপ দ্রৌপদী ও পঞ্চ পান্ডবদের পূর্বজন্মের কথা। এগুলো আমার জানা ছিল না। এছাড়া বইয়ের অধিকাংশ পাতায় থাকা সংস্কৃত শ্লোকগুলো বেশ বেগ দিচ্ছিল আমায়। তবে আবারও বলবো এ এক অন্যরকম অনুভূতি। যা আমি আর মা দুজনেই উপভোগ করেছি। কারণ আমি পড়েছি আর সাথে মা কেও পড়ে শুনিয়েছি।
শেষে এটাই বলবো, ভগবানের শেষ দিন হয়না। ভক্তদের বন্ধনে তিনি সমুদ্রতটে চির বিরাজমান — প্রভু জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম। "জগন্নাথস্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।"
A fantabulous novel that sprints through the crucial happenings of the Mahabharata, unraveling each scene in the voice of the particular character themselves, yet maintaining an overall third-person devotee/admirer's narration, just blew me away!
This book had been on my TBR for so long, and when I found the audiobook on Storytel, I immediately delved into it. The content, character development, narration, and writing style are marvelous, but the only blemish was the narrator of the audiobook Sumit Kaul. Gosh, he did not have any idea about the pronunciation of any Sanskrit word or even the names of certain popular Mahabharata Characters. However, I don't understand how he was chosen/has accepted to read out such a lovely book that has been nicely adorned with Sanskrit verses from various texts as if they were citations. He faltered in pronunciation every here and there, if it was not a pure English phrase, and at certain places, there were issues in the editing of the raw recording.
Overall, the serene, lovely, and conversation-styled prose about a devotee talking to his God, and getting the answers to all his questions in the very next line of his own speech, though that very God is not replying back to him directly, and at the same time dashing through the storyline of Mahabharata, with a dash of rightful intrepidity of devotion, was heartwarming.
My Rating — 4.5 ⭐ (That 0.5 is all because of the blunders of the audiobook narrator)
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখার সাথে পরিচয় ঘটলো এই বইটা দিয়ে। কী সুন্দর শব্দচয়ন আর তার প্রয়োগ-প্রকাশ!
মহাভারতে ভগবান বিষ্ণু আবির��ভূত হয়েছেন লোকক্ষয়কারী আর প্রেমের অবতার হিসেবে। প্রেম-যমুনা প্রবাহিত করে তিনি হলে অধর্ম বিনাশী।
সুন্দর শব্দচয়ন বললাম, এর সাথে প্রেমযমুনার থেকে লোকক্ষয়কারী অবতার প্রকাশকারী শব্দই বেশি। ধ্বংস বোঝাতে যেই সমস্ত শব্দ ব্যবহার করা হয়, তার খুব সুন্দর প্রয়োগ করেছেন লেখক। বেশ ভালো লাগলো পড়তে।
১৪২১ বঙ্গাব্দে শারদীয়া বর্তমানে 'শেষ কটা দিন' নাম দিয়ে লেখাটিই পরিমার্জনে 'শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন' এবং সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার লাভ। বইটা ভাল। তথ্যে এবং ভাববিহ্বলতায় সমৃদ্ধ। পড়তে ভাল লাগে। ভক্তির আবেশে কৃষ্ণের ব্যক্তিত্বের কিছুটা অংশই পরিদৃশ্যমান হয়ে ওঠে এবং অবশেষে লৌকিক অলৌকিক এবং অতিলৌকিকতায় শেষ হয় এই কাব্যগাথা। নতুন করে পাওয়া নয়, অতিপরিচিত কাহিনীর অন্যরকম কোলাজে ভক্তি অর্ঘ্য নিবেদন। পড়ার পরে একটা কথাই মনে হয়, সত্যিই কি ওনার এই বইটা সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। এর চাইতে অনেক উচ্চমানের বই উনি লিখেছেন, বর্তমানে সারা ভারত জুড়ে লেখা হচ্ছে। বিতর্ক থাকবেই...
🎋বইয়ের নাম - শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন🎋 ✍🏻লেখক - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় 🖨️প্রকাশক - আনন্দ পাবলিশার্স 💰মূল্য - 250/-
⛳ কি ভাবছেন বইটা কেমন হবে? বইটা কি কেনা যাবে? কী আছে এই বইতে? আসুন দেখে নিই.......
🎑🕊️ বইয়ের নামটা এতোটাই আকর্শনীয় যে না পড়ে থাকা যায় না। তার উপর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত, প্রথমেই একটা প্রশ্ন মাথায় আসে দেবতাদের কি আসলেই মৃত্যু হয়? বইটি পড়তে গিয়ে একটা জিনিষ খুব ভালো করে বুঝলাম ‘রামায়ণ মহাভারত’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জানা থাকলে এই বইয়ের বিষয়বস্তু বোঝা সত্যিই কঠিন! গল্পের শুরুতেই দেখা যায় অজস্র মৃতদেহ পরিবেষ্টিত কুরুক্ষেত্রের রক্তস্নাত প্রান্তর। এরপরই আসে গান্ধারীর সাথে শ্রীকৃষ্ণের সাক্ষাৎকার। গান্ধারী পাপাত্মা দুর্যোধনকে ত্যাগ করতে অনুরোধ করলে ধৃতরাষ্ট্র ব���েন সেটা সম্ভব নয়। ধৃতরাষ্ট্র ঠিক কোন কারণে দুর্যোধনকে ত্যাগ করতে পারেনি?
🎑🕊️এই গল্পে অন্যতম চরিত্রে রয়েছেন দ্রৌপদী। তাঁর জন্মকথা থেকে পূর্ব জন্মের কাহিনী সমস্ত বিবরণ রয়েছে এই গল্পে। তার উপস্থিতি পুনরায় আমাদের সেই পুরোনো প্রশ্নমালার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় যথারীতি। যেখানে একজন পুরুষ কিভাবে এক নারীকে পাশাখেলায় বাজি হিসেবে ধরতে পারে? এই অধিকারবোধ তাকে কে দিয়েছে? রজস্বলা অবস্থায় এক নারীর যখন বস্ত্রহরণ হয় যার নীরব সাক্ষী তার পঞ্চস্বামী ও সমস্ত পুরুষকুল তার মনের অবস্থা ঠিক কিরকম হতে পারে?
🎑🕊️গান্ধারী শ্রীকৃষ্ণের শেষ পরিণতি নির্দিষ্ট করে এবং অভিশাপ দেয় ঠিক কোন কারণে গান্ধারী শ্রীকৃষ্ণকে অভিশাপ দেয়? শ্রীকৃষ্ণ কি পারবেন গান্ধারীর অভিশাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে?? শেষ পর্যন্ত কি ঘটতে চলেছে কৃষ্ণের সাথে? জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে এই গল্প। উপন্যাসটি ছোট তাই বেশি আলোচনা করে স্পয়েল করলাম না!
🔰🎏ব্যক্তিগত মতামত🎏🔰 বইটি পড়ে আমার যে খারাপ লেগেছে তেমনটা বলবো না, তবে হ্যাঁ ঠিকঠাক লেগেছে। যেসব ��াঠকেরা এখনো পর্যন্ত পড়েননি তারা পড়ে দেখতে পারেন। যদি শ্রীকৃষ্ণ আপনার প্রিয় দেবতা হয়ে থাকে, যদি তাঁর লীলাপ্রসঙ্গ দর্শনের আকারে জানতে চান, তাহলে এই বইটি অবশ্যই পড়তে পারেন। বইটি হার্ড কভার, ভালো কাগজ, ঝকঝকে ছাপা ও আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ সমৃদ্ধ।
📥🗒️2024 Book Review ~ 73 যদি এই বইটি পূর্বেই কেউ পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের ব্যক্তিগত মতামত জানাবেন। এছাড়াও আমার রিভিউ কেমন লাগছে সেটাও জানাবেন নিচের কমেন্ট বক্সে। যদি কিছু ভুল ত্রুটি হয় সেটাও জানতে ভুলবেননা। 🍀 আবারো দেখা হবে পরের রিভিউতে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন আর অনেক অনেক বই পড়ুন। 🙂 🙏🏻 !! ধন্যবাদ !! 🙏🏻
স্থান হল কাম্যক বন। পঞ্চপান্ডব বসে আছেন। দেখা করতে এসেছেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। শুরু হল শ্রীকৃষ্ণের জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার বিবরন।
ভগবান যখন নিজে নেমে আসেন পৃথিবীতে, তখন সে কিন্তু মনুষ্য জীবনের সব দুঃখ কষ্টও ভোগ করেন। তার জীবন কখনই মসৃণ পথের মত হয় না। সেই দিকই তুলে ধরেছেন মাননীয় লেখক। কিভাবে যদুবংশ একেবারে ধ্বংস হয়ে যায় সেই কাহিনী। সাথে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের, পঞ্চপাণ্ডবদের, দ্রৌপদীর জীবনের কিছু অদ্ভুত ঘটনা উল্লিখিত হয়েছে এখানে, যেগুলো বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালে বা সিনেমাতে দেখা যায় না।
একেবারেই সাধারণ মানের লাগলো। নতুন কোনো তথ্য নেই। আর বইয়ের নামকরণ এটা কেন রাখা হলো জানি না। নামের সাথে বইয়ের বিষয়বস্তুর খুবই কম সামঞ্জস্য। বরং "শ্রীকৃষ্ণের সাথে কথোপকথন" কিংবা "শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্ত", এই ধরণের কিছু নাম দিলে তাও মানা যেত। মহাভারতের সংক্ষিপ্তসারও বলা যায়না বইটিকে।
কেউ যদি মহাভারতে হাতেখড়ি করতে চান, তাঁকে recommend করবো অবশ্যই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর 'ছেলেদের মহাভারত' দিয়ে শুরু করতে। 'শ্রীকৃষ্ণের শেষ ক'টা দিন' সম্ভবত কাউকে রেকমেন্ড করবো না। সত্যি বলতে খুবই হতাশ হলাম, হয়তো সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেই বইটিকে 2 স্টার রেটিং দিতে বাধলো।
Disappointed!! I always look forward to read books on Mahabharata and title of the book was attractive , as this is one territory which had not been touched by writers till now. But the title is misleading, there is no new information in the book ..it is just a summary of the mahabharata ..which could be helpful for the beginners ..but not for someone who have read and watched previous works on mahabharata!!
বাহ্। মোহনীয় কথামালার এক শান্তিপাঠ। সঞ্জীব বাবুর বাচনভঙ্গির প্রশংসা না-করে পারা যায় না। কী অবলীলায়-না সহজ-সুবোধ্য-স্বরে সমাপ্তি টানলেন ভগবানের ভবলীলার। বইটি পড়ে কৃষ্ণকে যেন আরও কাছের জন বলে মনে হচ্ছে, কৃষ্ণকে ভগবান অপেক্ষা সখারূপে পেতেই বেশি ভালো লাগে।
তবে বইটির নামা��ুসারে শেষের দিকটাতে আরও খানিকটা বাড়ানো যেত, এতে করে পাঠকের যদি আরও খানিকটা তৃপ্তি হতো, তাতে ক্ষতি ছিল না কিছুই।
It's recap of Mahabharat in the context of a fictitious conversation of reminiscing the events triggered by Krishna during different phases while he was getting over.
শুরুটা হয়েছিল ভাল কিন্তু তার পর থেকেই বড্ড অগোছাল মনে হলো। যাই হোক শেষ অবধি আশাহত হয়েছি বলাই বাহুল্য। পাঠকদের আমি পড়তে বলবো না আবার না পড়ার পরামর্শ ও দেব না। আপনারা পরে দেখুন কেমন লাগে।
রীতিমত হতাশ হলাম। না কোনো নতু্ন তথ্য, না কোনো গভীরতা। পড়তে পড়তে বারবার এতোটাই বিরক্ত হয়েছি, মনে হয়েছে থাক আর পড়ে লাভ নেই। এই বই কেমন ভাবে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত হয়?
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় সাধারণত তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক, তির্যক কিন্তু হাস্যরসে ভরপুর লেখার জন্য সুবিখ্য���ত।তীক্ষ্ণ রসবোধ,সঙ্গে তীব্র শ্লেষ মেশানো হাস্যরস ঘরানার লেখকদের মধ্যে প্রথম সারিতে অবশ্যই তিনি স্থান অধিকার করেন।হাস্যরসাত্মক লেখার মাধ্যমে তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক বহু বিষয়কে অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভঙ্গিমায় লিখে পাঠকদের মনোরঞ্জন করে আসছেন বহু বছর ধরেই।
তাঁর এই নিজস্ব ঘরানার বাইরে বেড়িয়ে ছক ভাঙ্গেন খুব সম্ভবত “ লোটাকম্বল” উপন্যাসের মাধ্যমে। এই উপন্যাস সাধারণ পাঠকমহলে এবং ��কই সঙ্গে বিশে���জ্ঞ সমালোচক মহলেও সমান জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা অর্জন করে।তাঁর গুণমুগ্ধ পাঠককূলের সাথে সাথে সাহিত্য বিদগ্ধমহলও হয়ত এই বইয়ের জন্য তাঁর অ্যাকাডেমী পুরস্কার লাভের আশা করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা পান নি। পরবর্তীকালে 'শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন' বইটির জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৪২১ বঙ্গাব্দে শারদীয়া বর্তমানে 'শেষ কটা দিন' নাম দিয়ে এই উপন্যাসের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে । পরে লেখাটিই পরিমার্জনে 'শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন' নামে বই-এর আকারে প্রকাশ পায় এবং সাহিত্য অ্যাকাডেমী পুরস্কার লাভ।
বইয়ের বিষয়ে বলতে শুরু করলে প্রথমেই যেটা বলা দরকার তা হল, বইয়ের বিষয়ের সাথে বইয়ের নামকরনের খুব একটা সামঞ্জস্য রক্ষা হয়নি। নাম দেখে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয় যে, এই বইয়ে শ্রীকৃষ্ণ জীবনের শেষ কটি দিন কি চিন্তা ভাবনা করেছিলেন বা কিভাবে তিনি শেষ কটি দিন অতিবাহিত করেছিলেন, হয়ত সেই বিষয়ে লেখা। কিন্তু তা নয়। এই বই সমগ্র মহাভারতের মুখ্য ঘটনাপ্রবাহের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধত্তোরকালে সম্পূর্ণ মহাভারতের প্রতিটি ঘটনার বিশ্লেষন করা হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের দৃষ্টিতে। যেখানে ভক্ত প্রশ্ন করেছেন ভগবানকে আর উত্তরও যেন নিজের থেকেই প্রাপ্ত হচ্ছেন। সমগ্র মহাভারতের সমস্ত ঘটনার কার্য কারণের সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি চরিত্রের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি, তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিশেষ ঘটনাগুলির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। যদুবংশের ধ্বংস ও শ্রীকৃষ্ণর মৃত্যুর বিবরণ দিয়ে বই শেষ হয়েছে।
মুখবন্ধ
শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্মধারী তুমি নারায়ণ, তুমি কৃষ্ণ, তুমি করুণাসিন্ধু। মর্ত্য-লীলাশেষ। এইবার বুঝি বিদায় নেওয়ার পালা। এসেছিলেন কংসের কারাগারে। নিষ্ঠুর রক্তাক্ত এই পৃথিবীতে রেখে গেলেন ‘প্রেম যমুনা’। শ্রীমতী তো আপনারই হ্লাদিনী শক্তি। চাঁদের যেমন কিরণ। কোথা বৃন্দাবন, কোথা গোপীগণ, কোথা কৃষ্ণ! এ তো আমাদের ক্রন্দন। আপনার তো কিছু নয়। নিজেই গড়লেন, নিজেই ভাঙলেন। কিন্তু, যাবেন কোথায় প্রভু! ভক্তদের বন্ধন! সমুদ্রের তটেই চির অবস্থান – প্রভু জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম। শ্রীকৃষ্ণ ভগবান।
মানবরূপী বিষ্ণুবতার শ্রীকৃষ্ণকে জানার আগ্রহ যুগ যুগ ধরে। বহু লেখক – বিশেষজ্ঞ শ্রীকৃষ্ণ বিষয়ক বহু বই – কাব্য রচনা করেছেন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। এই বইটিও সেই রকমই একটি রচনা। ভক্ত ও ভগবানের কথোপকথন রূপে বইটি রচিত।
বইয়ের মূল শিক্ষণীয় বিষয় হল —
আমাদের জীবনের প্রতিটি ঘটনা পূর্বনির্ধারিত এবং প্রতিটি ঘটনার কারণও যুক্তিপূর্ণ এবং আমাদেরই কর্মফলের প্রতিফলন।
অর্থাৎ আমরা যা করব তারই ফল ভোগ করব। কৃষ্ণমতে কর্মফল শুধুমাত্র এই জন্মেরই নয়, পূর্বজন্মেরও ফল, যা আমাদের পরবর্তী জন্মে ভোগ করতে হয়। সমগ্র মহাভারতে জন্মান্তরবাদের বিভিন্ন ঘটনা আমরা দেখতে পাই। যেমন দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামী প্রাপ্তি। তাঁর পূর্ব জন্মের তপস্যার ফল পরবর্তী জন্মে পান্ডবদের স্বামীরূপে পাওয়া।যেমন ভীষ্ম হত্যায় শিখণ্ডীর ভুমিকা। যা কিনা পূর্বজন্মের অম্বার বরপ্রাপ্তি। একই ভাবে কৃষ্ণের মৃত্যুর কারণ স্বরূপ গান্ধারীর অভিশাপের উল্লেখ আছে। বলা হচ্ছে —
গান্ধারী বললেন, " গোবিন্দ! যেহেতু পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত জ্ঞাতি কৌরব ও পাণ্ডবগণকে তুমি উপেক্ষা করেছ, সেই কারণে তুমিও নিজের জ্ঞাতি-বান্ধবদের বিনাশ করবে।"
এর উত্তরে কৃষ্ণ মৃদু হাসছেন ও বলছেন , " ক্ষত্রিয়ে ! জানি, আমি সব জানি, এই রকমই হবে। তুমি নতুন কিছু বললে না।….. "
শ্রীকৃষ্ণ ত্রিকালদর্শী ছিলেন।ইচ্ছাবলে ইহকালের সমস্ত ঘটনা প্রবাহের দিক নির্ধারিত করতে পা��তেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। শুধু সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ সঠিক দিশায় সঞ্চালন করে গেছেন।সম্ভবত জানাতে চেয়েছেন নিয়তিকে পাল্টানোর ক্ষমতা হয়ত কারো নেই। বা কর্মফলের ভোগ সকলকে করতেই হয়। তা অপরিবর্তনশীল। পরিবর্তন করা উচিত না। আত্মার জন্ম নেই। যার জন্ম নেই তাঁর মৃত্যুও সম্ভব নয়। তাই আত্মা অজেয়, অপক্ষয়হীন, বৃদ্ধিশূন্য। কিন্তু শরীরের অস্তিত্ব আছে, শরীর পিঞ্জরসম। এর ক্ষয় আছে, জরা, ব্যাধি, মৃত্যুও আছে।ব্যাখ্যা যাই হোক যার শুরু আছে তারই শেষ আছে,উদয় হলে অস্তও অনিবার্য কিন্তু তা চক্রবৎ। এরই মধ্যে এক শক্তি বিরাজমান। যা এই সকলকে নিয়ন্ত্রিত করছে। তিনিই আর কেউ নন, স্বয়ং রথারূঢ় বাসুদেব। তাঁর সহজ রূপটি মধুরতম। কিন্তু বিশ্বরূপ কেমন?
অর্থাৎ যদি আকাশে সহস্র সূর্যের প্রভা যুগপৎ উদিত হয়, তা হলে সেই মহাত্মা বিশ্বরূপের প্রভার কিঞ্চিৎ তুল্য হতে পারে।
কৃষ্ণ এক মহারহস্য, অজানা – অপরিজ্ঞাত সৃষ্টি রহস্য, লোকক্ষয়কারী প্রবৃদ্ধকাল। যিনি সমগ্র সৃষ্টিকে বিনাশ করতে পরেন, অথচ পরাভূত হলেন কালের কাছে। নিজের আত্মীয়, পরিজন, পরিবার কারো বিনাশ রোধ করলেন না।রোধ করলেন না রক্তক্ষয়ী কুরুক্ষেত্র যুদ্ধকে। রোধ করলেন না বিনাশকারী পাশাখেলাকে, রোধ করলেন না দ্রৌপদীর চরম হেনস্থা কিন্তু রক্ষা করলেন তাঁর নারীত্বকে, রোধ করলেন না অভিমন্যু বধকে।নত মস্তকে মেনে নিলেন নিয়তিকে।তাই হয়ত জীবনের শেষদিন একাকী লোকচক্ষুর আড়ালে সামান্য এক ব্যাধের তীরের আঘাতে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়ে নিজের জীবনকে দিলেন চরম অবহেলাময় এক সমাপ্তি।এটাই তাঁর কর্মফল।
"In every age, whenever righteousness will fall into decay, whenever immorality will prosper, I will manifest my earthly incarnation."
Mythology books are tricky to get right, mostly because the stories and content is already out there and everyone is well versed with them. This one did it well, it's not exactly a retelling of Mahabharata but relies heavily on the incidents from the saga with more fictional conversations that happened between Lord Krishna and various characters. The epicenter of the narration is post the battle of Kurukshethra, where after seeing her son's brutally defeated, Gandhari curses Lord Krishna of dying a lonely death. Now even though we know he's God, the curse does affect his life. The author takes us through Lord Krishna's life in a very smooth way, even when we jump across time and incidents, the narration doesn't feel disjointed. You know the moments, but also get new insights through this book. I have to say that the translation is impeccable, it's definitely not an easy one to do justice. So kudos @maitrariddhi for pulling this off so well. 💜 I also loved the illustrations in this book.
What is a mother supposed to do, when she sees her children lying decapitated on a battlefield? When she sees her children, her husband, her grandchildren lying dead around her? When she sees that not a single person who'd carry the grand lineage remains alive? A helpless, hapless woman, who led a life devoting herself to her father, her husband, her children and Lord Shiva— what is she supposed to do?
As Gandhari takes out her wrath on Lord Krishna for causing the great war of Mahabharata by cursing him to face the same fate as the Kauravas— that his clan, the Yadava clan, would perish; she reminds Lord Krishna of all the times he had shown his wrath on mere humans. Gandhari, out of her desperation, asks the Lord as to why he always egged the Kauravas on that eventually led them to the war. She demands him to answer why he never stopped her oldest son Duryodhan, if he already knew it would lead to the death of thousands of innocents.
This Sahitya Academy 2018 winner, translated from Bengali to English by Riddhi Maitra, is written from Gandhari's perspective, in an almost-accusatory tone. As the Blue God accepts Gandhari's curse in a calm and cool demeanor, Gandhari goes back and forth in time reminding him of all the important moments of his life— including the time he did nothing when Draupadi's respect was at stake until the very last moment, or the time when he kidnapped his very wife Rukmini and married her against her will.
Written in a continuous rant-like manner, the narration is full of Gandhari's painful and hurting emotions, that's also laced with her anger directed at the Blue God. This book offers you a biographical take on Lord Krishna's life and the reason why he smilingly accepts the infamous "Curse of Gandhari."
বইয়ের নাম একদিকে আর কাহিনী আরেকদিকে মনে হইলো। ভাবলাম কৃষ্ণের মৃত্যুর আগের কয়েকটা দিন কীভাবে কেটেছে সেইসব নিয়ে হবে বইটা। পড়তে গিয়ে দেখি পুরা বই জুড়ে মহাভারতের কাহিনী....শেষের দুইপাতায় কৃষ্ণের মৃত্যু।