শাপমুখী
শাপমুখী পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপ (দক্ষিণ ইংল্যান্ড থেকে আইবেরিয়া এবং পূর্বে ক্রিমিয়া ), উত্তর আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার (পূর্ব থেকে জর্জিয়া )স্থানীয় সপ্পিকা গণের একটি প্রজাতি। [১] [২] এটি অস্ত্রালয়, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রবর্তিত হয়েছে, যেখানে এটি একটি আক্রমণাত্মক আগাছা। এর বৈজ্ঞানিক নাম সপ্পিকা শাপমুখী । বিষবৃক্ষযৌগের উচ্চ ঘনত্বের কারণে, এ গাছটি চারণকারী গবাদি পশুদের জন্য বিষাক্ত, বিশেষ করে যাদের সাদা-মাটা পাচনতন্ত্র রয়েছে, যেমন ঘোড়া।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]সপ্পিকা শাপমুখী হলো একটি শীতকালীন একবর্ষজীবি যা ২০-৬০ শত্ত়জন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, লগে পত্র যা ১৪ শত্ত়জন পর্যন্ত হতে পারে। ফুল বেগুনি, ১৫-২০ ক্ষুদিত্ত়জন, সমস্ত পুংকেশর প্রসারিত এবং একটি শাখাযুক্ত কাঁটার উপর বহন করে। [৩] [৪]
শ্রেণীবিন্যাস
[সম্পাদনা]বাঙালা
[সম্পাদনা]এর বাংলা নাম এসেছে এর বিষাক্ততা হতে। আর এর গণের নাম এসেছে পালি শব্দ সপ্পিকা হতে, যার অর্থ সর্প। উদ্ভিটটি বাংলাদেশে তেমনভাবে স্থানীয় না হলেও এর সাংস্কৃতিক গুরুত্ব থাকলেও থাকতে পারে।
লাতিনুস
[সম্পাদনা]লাতিন বংশের নামটি এসেছে গ্রীক শব্দ ἔχις (এখিস্) থেকে, যার অর্থ ভাইপার (এক ধরনের সাপ), সম্ভবত একটি ভাইপারের মাথার মতো বীজের কারণে বা পাতলা ফুলের শৈলীর শেষে একটি ভাইপারের জিহ্বার অনুরূপ। গাছের শিকড়, যখন দ্রাক্ষাসুরা দিয়ে খাওয়া হয়, দাবি করা হয় যে এটি একটি সাপের কামড়ের জন্য একটি লোক নিরাময় প্রদান করে। [৫] লাতিন গুণবাচক প্ল্যান্টাজিনিয়াম (Plantagineum) উদ্ভিদের পাতাগুলিকে বোঝায়, যা একটি কাঁচকলার মতো। [৫]
আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে
[সম্পাদনা]সপ্পিকা শাপমুখী অস্ট্রেলিয়ায় একটি আক্রমণাত্মক প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে, যেখানে এটি স্যালভেশন জেন (বিশেষত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ), [৫] ব্লুউইড, লেডি ক্যাম্পবেল আগাছা, প্যাটারসনের অভিশাপ এবং রিভারিনা ব্লুবেল নামেও পরিচিত। [৬]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, প্রজাতিটি ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন এবং কিছু পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং উত্তর মিশিগানের মতো অঞ্চলে প্রাকৃতিক হয়ে উঠেছে। [৭] ওরেগনে, এটিকে একটি ক্ষতিকারক আগাছা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। [৮]
বিষাক্ততা
[সম্পাদনা]সপ্পিকা শাপমুখী-তে বিষবৃক্ষযৌগ থাকে, তাই ইহা অজঠরপশুদের জন্য বিষাক্ত। [৯] [১০] বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে, এটি গবাদি পশুর ওজন হ্রাস করে এবং যকৃতের ক্ষতির কারণে গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘটায়। [৬] প্যাটারসনের অভিশাপ ঘোড়াকেও মেরে ফেলতে পারে, [১১] এবং দুগ্ধবতী গরুর তল ও মানুষের চামড়া জ্বালাতন করতে পারে। ১৪০৯ ক্যানবেরা দাবানলের পরে, পোড়া জমিতে উদ্ভিটটির বৃহৎ এক জন্ম দেখা যায় এবং এতে অনেক ঘোড়া অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এটিতে চরাতে গিয়ে মারা যায়। [১২] যেহেতু প্যাটারসনের অভিশাপের অমৃতেও বিষবৃক্ষযৌগা পাওয়া যায়, তাই এটি থেকে তৈরি মধু অন্যান্য মধুর সাথে মিশ্রিত করা উচিত যাতে বিষাক্ত পদার্থগুলি পাতলা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Echium plantagineum. Flora Europaea.
- ↑ "Echium plantagineum"। জার্মপ্লাজম রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিআরআইএন)। কৃষি গবেষণা পরিসেবা (এআরএস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৮।
- ↑ Blamey, M. & C. Grey-Wilson. Flora of Britain and Northern Europe. 1989. আইএসবিএন ০-৩৪০-৪০১৭০-২
- ↑ Piggin, C. M. & A. W. Sheppard. (1995). Echium plantagineum L. In: Groves, R. H., R. C. H. Shepherd, and R. G. Richardson, (eds.) The Biology of Australian Weeds Vol 1. R. G. and F. J. Richardson, Melbourne. pp 87-110.
- ↑ ক খ গ W. T. Parsons, William Thomas Parsons and E. G. Cuthbertson গুগল বইয়ে Noxious Weeds of Australia, পৃ. 325, উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Parsons" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ ক খ Lewis Kahn and David Cottle (editors) গুগল বইয়ে Beef Cattle Production and Trade
- ↑ "Paterson's Curse Echium plantagineum in the Pacific Northwest" (পিডিএফ)। Oregon State University। অক্টোবর ২০০৭। ২০১২-১০-০২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৪।
- ↑ "Paterson's Curse"। Oregon Department of Agriculture। ফেব্রুয়ারি ১২, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-২০।
- ↑ The MERCK Veterinary Manual, Table 5 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১০-১১-১৭ তারিখে
- ↑ D. Jesse Wagstaff গুগল বইয়ে International Poisonous Plants Checklist: An Evidence-Based Reference
- ↑ Patersons Curse and Horse Health
- ↑ Paterson's curse poisoning in horses. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে Animal Health Surveillance Quarterly Report 8(4) Oct-Dec 2003.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- উইকিমিডিয়া কমন্সে শাপমুখী সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- উইকিপ্রজাতিতেশাপমুখী সম্পর্কিত তথ্য।
- ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলির ক্যালফটোস ডাটাবেজে Echium plantagineum