লতিফা ইবনে জিয়াতেন
লতিফা ইবনে জিয়াতেন لطيفة بن زياتين | |
---|---|
জন্ম | তেতৌয়ান, মরক্কো | ১ জানুয়ারি ১৯৬০
জাতীয়তা | ফরাসি-মরোক্কান |
পরিচিতির কারণ | সহিংসতাবিরোধী কর্মকাণ্ড |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | ইমাদ ইবনে জিয়াতেন ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন ফর পিস |
লতিফা ইবনে জিয়াতেন (আরবি: لطيفة بن زياتين, জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৬০, তেতৌয়ান, মরক্কো)[১] হলেন একজন ফরাসি মরোক্কান, যিনি ২০১২ সালে ফ্রান্সের তুলুজে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ইমাদ ইবনে জিয়াতেনের মা।
জীবনী
[সম্পাদনা]লতিফা ইবনে জিয়াতেন ১৭ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালে ফ্রান্সে আসেন। তার স্বামী ফরাসি রেলওয়ে বিভাগে চাকরি করতেন। লতিফা ইবনে জিয়াতেন চার ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
তার এক ছেলে ইমাদ ইবনে জিয়াতেন দেশটির প্রথম প্যারাট্রুপ রেজিমেন্টে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সালের ১২ মার্চ এক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন তিনি।
লতিফা ইবনে জিয়াতেন তখন মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টস অব রৌয়েনে কর্মরত ছিলেন। তার ছেলের মৃত্যুর পর তিনি ইজার্দসে গমন করেন, যেখানে সন্ত্রাসী হামলাকারী থাকত। ২০১২ সালের এপ্রিলে তিনি ইমাদ ইবনে জিয়াতেন ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন ফর পিস গঠন করেন। সংগঠনটি পিছিয়ে থাকে অঞ্চলের যুবসমাজ নিয়ে কাজ করা ছাড়াও ধর্মনিরপেক্ষতা ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটির পৃষ্ঠপোষক হলেন জামাল দেব্বৌজি। সংগঠনটির কার্যালয় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে দেশটির রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিল অব জিউইশ ইন্সটিটিউশনস ইন ফ্রান্স তাকে তার সংগঠনের কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মানিত করেছিল। তার সংগঠনটি দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও অনুদান পেয়ে থাকে।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্যারিসের একটি সিনাগোগে শার্লি এবদো হামলায় নিহতের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন।
২০১৫ সাকে তিনি শিরাক ফাউন্ডেশন থেকে সহিংসতাবিরোধী পুরস্কার লাভ করেন।[২] ২০১৬ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেন।
কর্ম
[সম্পাদনা]- মোর্ত পৌর লা ফ্রান্স : মোহামেদ মেরাহ আ টুতে মোন ফিলস,[৩] প্যারিস ফ্লামারিওন, ২০১৩, ২৬৮ আইএসবিএন ৯৭৮-২-০৮-১২৯৬১২-১
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]- লেজিওঁ দনর[৪]
- সহিংসতাবিরোধী পুরস্কার ২০১৫
- আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার ২০১৬[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Ondine Millot, Latifa Ibn Ziaten
- ↑ Nathalie Segaunes, Nathalie Segaunes, "Le lamento de Latifa Ibn Ziaten, exhibée, récompensée et oubliée", L'Opinion, 19 novembre 2015.
- ↑ Olivier Le Naire, "Affaire Merah : Latifa Ibn Ziaten, au nom du fils ", L'Express, mars 2013.
- ↑ Décret du 13 juillet 2015 portant promotion et nomination, JORF
- ↑ « 2016 International Women of Courage Award »[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], state.gov.