মেরিক প্রিঙ্গল
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মেরিক ওয়েন প্রিঙ্গল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২২ জুন, ১৯৬৬ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ১ সন্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪২) | ১৮ এপ্রিল ১৯৯২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ নভেম্বর ১৯৯৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ অক্টোবর ১৯৯৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৫ | অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭ – ১৯৮৮ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮ – ১৯৮৯ | ইস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯ – ১৯৯৭ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭ – ২০০২ | ইস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ জুন ২০১৮ |
মেরিক ওয়েন প্রিঙ্গল (ইংরেজি: Meyrick Pringle; জন্ম: ২২ জুন, ১৯৬৬) ইস্টার্ন কেপের অ্যাডিলেডে জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে চারটি টেস্ট ও সতেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল তার।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও ফ্রি স্টেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স ও মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন মেরিক প্রিঙ্গল।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]দক্ষিণ আফ্রিকার কিংসউড কলেজে পড়াশোনা করেছেন মেরিক প্রিঙ্গল। বিদ্যালয় পর্যায়েই খেলার সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত আলবাট্রসেস দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন। ঐ দলটিতে বর্ষসেরা ক্রিকেটার মার্ক রাশমেয়ার, ডেভ রান্ডল, ডেভ কালাহান, ড্যারিল কালিনান ও সালিয়েগ ন্যাকারডিয়েনের ন্যায় তারকা খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ ছিল।
১৯৮৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন ডিগ্রী লাভ করেন। এর পরপরই প্রাদেশিক দলসহ ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
[সম্পাদনা]অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে মেরিক প্রিঙ্গলের। ঐ প্রতিযোগিতায় নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪/১১ লাভ করেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।[১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৯২ সালের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে মেরিক প্রিঙ্গলের। বর্ণবাদবৈষম্যের অবসানের পর প্রথম টেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। খেলায় প্রিঙ্গল ২/১০৫ লাভ করেন।
নিজদেশে ভারতের বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজে অংশ নেন তিনি। তন্মধ্যে, জোহেন্সবার্গে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংকালে ভারতীয় ফাস্ট বোলার জাভাগাল শ্রীনাথের মারাত্মক বাউন্সারে চোখে ভীষণ আঘাত পান। ফলশ্রুতিতে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়ে চলে আসাসহ রিটায়ার্ড হার্ট হতে হয়।[২][৩] এরফলে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত খেলতে পারেননি তিনি। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।
১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন তিনি। এসময় তিনি চার টেস্ট ও ১৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছিলেন।
কোচিং
[সম্পাদনা]ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। হল্যান্ড ও নামিবিয়ায় কোচের দায়িত্ব পালনের পর জয়পুর ক্রিকেট একাডেমির কোচিং পরিচালক হিসেবে মনোনীত হন।[৪]
৫ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে রাজস্থানের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১২-১৩ মৌসুমে পূর্ণাঙ্গকালীন দায়িত্ব লাভ করেন মেরিক প্রিঙ্গল।[৫] বর্তমানে তিনি ক্রিকেট বিশ্বে যে-কোন ধরনের ক্রিকেটে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও, ফ্রিল্যান্সিং টিভি সম্প্রচারকারী, ধারাভাষ্যকার ও স্টুডিওতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।
প্রিঙ্গল ফাউন্ডেশন
[সম্পাদনা]২০০৯ সালে কাকাতো ভাই গ্র্যান্ট প্রিঙ্গলের সাথে প্রিঙ্গল স্পোর্টস এন্ড এডুকেশন ফাউন্ডেশন গঠন করেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে শিক্ষাদানের পাশাপাশি ক্রীড়ায় প্রশিক্ষণ প্রদানে ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে।[৬] এছাড়াও ফাউন্ডেশনে কোচিং ক্লিনিক, ক্লাব ও বিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ ভারতের ন্যায় বিভিন্ন দেশের সাথে আন্তর্জাতিক বৃত্তি বিনিময় কর্মসূচী প্রদান করছে।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার এক সন্তান রয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ McGlashan, Andrew। "Pringle's big day out"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ India tour of South Africa, 1992/93
- ↑ Tawde, Rohan (২৫ মার্চ ২০০৮)। "India vs RSA: Memories Galore – A knock-out blow"। Cricket Nirvana। ৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Pringle swings into India"। Pringle Sports & Education Foundation। ২৫ জুলাই ২০১১। ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ Gollapudi, Nagraj (৫ ডিসেম্বর ২০১১)। "Meyrick Pringle appointed Rajasthan bowling coach"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "About Us"। Pringle Sports & Education Foundation। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১১।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মেরিক প্রিঙ্গল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে মেরিক প্রিঙ্গল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)