বহিস্ত্বক
বহিস্ত্বক | |
---|---|
বিস্তারিত | |
যার অংশ | ত্বক |
তন্ত্র | আচ্ছাদন তন্ত্র |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | epidermis |
মে-এসএইচ | D004817 |
টিএ৯৮ | A16.0.00.009 |
টিএ২ | 7046 |
টিএইচ | H3.12.00.1.01001 |
এফএমএ | FMA:70596 |
মাইক্রো শারীরস্থান পরিভাষা |
বহিস্ত্বক হলো ত্বকের তিনটি স্তরের মধ্যে সবচেয়ে বাইরের স্তর।[১] ভিতরের অন্যদুটি স্তর হলো যথাক্রমে অন্তস্ত্বক এবং অধস্ত্বক। বহিস্ত্বক স্তর শরীরের বাইরের পরিবেশের বিভিন্ন রোগজীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বাধা প্রদান করে এবং আন্ত:বহিস্ত্বকীয় পানি হারানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে বায়ুমন্ডলে পানি নি:সরণের পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে।
বহিস্ত্বক চ্যাপ্টা কোষের একাধিক স্তরের সমন্বয়ে গঠিত। কোষগুলো একটি একটি ভিত্তিস্তর (স্ট্র্যাটাম ব্যাসালি) তৈরী করে যা লম্বভাবে সাজানো কলামনার কোষ দ্বারা গঠিত।[২] ভিত্তিস্তরের স্টেম কোষ থেকে অন্যান্য স্তরের কোষগুলো বিকাশ লাভ করে। পুরুষাঙ্গের ক্ষেত্রে বহিস্ত্বকের পুরুত্ব ৩১.২ μm। পায়ের একমাত্র অংশের জন্য 596.6μm পর্যন্ত পরিবর্তিত হয় যার বেশিরভাগই প্রায় 90μm। পুরুষাঙ্গের ক্ষেত্রে বহিস্ত্বক বয়সের সাথে পাতলা হয়ে যায়। মানুষের বহিস্ত্বক আবরণী কলার একটি উদাহরণ।[৩]
গঠন
[সম্পাদনা]কাজ
[সম্পাদনা]১.. এসিডার্মিস বা ত্বক উদ্ভিদকে, বিশেষ করে উদ্ভিদের উদ্ভিদের অভ্যন্তরীণ টিস্যুকে বাইরের আঘাত থেকে ও অন্যান্য প্রতিকূল অবস্থা হতে রক্ষা করে।
২. রোমযুক্ত ত্বক, বিশেষ করে বিষাক্ত গ্রন্থিওয়ালা রোমযুক্ত ত্বক বিভিন্ন প্রাণীর আক্রমণ হতে উদ্ভিদকে রক্ষা করে থাকে।
৩. অনেক সময় ত্বক উদ্ভিদ কর্তৃক প্রাণীর অপচয়ও বন্ধ করে থাকে।
৪. ত্বক-এর ছিদ্র (স্টোমেটা =পত্ররন্ধ্র) দিয়ে উদ্ভিদ অভ্যন্তর ও বাইরের পরিবেশের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাসের আদান প্রদান করে থাকে।
৫. মোমের আস্তরণ পড়া ত্বক ছত্রাকের আক্রমণ হতে অভ্যন্তরীণ টিস্যুকে রক্ষা করতে পারে।
৬. ক্লোরোপ্লাস্ট যুক্ত ত্বক খাদ্য তৈরি করে।
৭. মূলরোম পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে।
৮. বুলি
ফর্ম কোষ পানি সঞ্চয় করে এবং পাতার প্রসারণ ও বিকাশের সহায়তা করে
৯. ত্বককোষ প্রয়োজনে বিভাজিত হতে পারে এবং ক্ষত সারিয়ে তোলে।
১০. পানি ও নানারকম বর্জ্য পদার্থ সঞ্চয় করে।
১১. ত্বকের কিউটিন সিলিকা মোম ইত্যাদি প্রস্বেদনের হার কমায়।
উদ্ভিদের অভ্যন্তরীণ টিস্যুকে বাইরের আঘাত থেকে ও অন্যান্য প্রতিকূল অবস্থা হতে রক্ষা করে।
গুরুত্ব
[সম্পাদনা]কেরাটিনোসাইটের ল্যাবরেটরি কালচারের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক গঠন তৈরি করে বহিস্ত্বকের বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্য অধ্যয়ন করা যায়। যা বিভিন্ন ওষুধের বিকাশ এবং পরীক্ষার জন্য একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
অতিরিক্ত চিত্র
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Young B (২০১৪)। Wheater's functional histology a text and colour atlas। Elsevier। পৃষ্ঠা 160& 175। আইএসবিএন 9780702047473।
- ↑ McGrath JA, Eady RA, Pope FM (২০০৪)। Rook's Textbook of Dermatology (7th সংস্করণ)। Blackwell Publishing। পৃষ্ঠা 3.1–3.6। আইএসবিএন 978-0-632-06429-8।
- ↑ Lintzeri, D.A.; Karimian, N.; Blume‐Peytavi, U.; Kottner, J. (২০২২)। "Epidermal thickness in healthy humans: a systematic review and meta‐analysis"। Journal of the European Academy of Dermatology and Venereology। 36 (8): 1191–1200। আইএসএসএন 0926-9959। ডিওআই:10.1111/jdv.18123 ।