বিষয়বস্তুতে চলুন

পল হোয়াইটল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পল হোয়াইটল
১৯৩১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে পল হোয়াইটল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
পল আরস্কিন হোয়াইটল
জন্ম(১৯১০-০২-১০)১০ ফেব্রুয়ারি ১৯১০
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু২৮ আগস্ট ১৯৮৮(1988-08-28) (বয়স ৭৮)
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কঅ্যালিসন মার্গারেট হল (পত্নী)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৫)
২৪ মার্চ ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩১ মার্চ ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৯
রানের সংখ্যা ৬৪ ২৭৩৯
ব্যাটিং গড় ৩২.০০ ৩৭.৫২
১০০/৫০ ০/০ ৫/১৫
সর্বোচ্চ রান ৩০ ১৯৫
বল করেছে - ১২
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ৩৯/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ মার্চ ২০২০

পল আরস্কিন হোয়াইটল (ইংরেজি: Paul Whitelaw; জন্ম: ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯১০ - মৃত্যু: ২৮ আগস্ট, ১৯৮৮) অকল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন পল হোয়াইটল। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে পারনেল ক্লাবের পক্ষে খেলেন। ১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত পল হোয়াইটলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আগ্রাসী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে পল হোয়াইটলের যথেষ্ট সুনাম ছিল। দর্শনীয় ব্যাটিং না করলেও নিজেকে ঠিকই খেলার জগতে ডুবিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে আর খেলার সুযোগ দেয়া হয়নি।

ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পল হোয়াইটল চমৎকারভাবে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোঁটাতেন। অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নেন। ১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত অকল্যান্ডের পক্ষে খেলে কিছুটা সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। এ পর্যায়ে ইনিংস প্রতি ৩৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।

১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে অকল্যান্ডের পক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে ওয়েলিংটন দলের বিপক্ষে খেলার প্রথম ইনিংসে ১১৫ রান তুলেন। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম শতরানের ইনিংস ছিল। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।

১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে স্বর্ণালী খেলা উপহার দেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় অকল্যান্ডের সদস্যরূপে ওতাগোর বিপক্ষে ডুনেডিনে বেশ ভালো খেলেন। বিল কারসনকে সাথে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৪৪৫ রান তুলেন। তাদের এ সংগ্রহটি প্রায় ৪০ বছর বিশ্বরেকর্ড হিসেবে টিকেছিল। দলের সংগ্রহ ২৫/২ থাকাবস্থায় মাঠে নামেন। মাত্র ২৬৮ মিনিটে এ রানগুলো সংগৃহীত হয়। খেলায় তিনি ১৯৫ রান তুলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ প্রথম-শ্রেণীর রান করেন।[][]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন পল হোয়াইটল। ২৪ মার্চ, ১৯৩৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৩১ মার্চ, ১৯৩৩ তারিখে অকল্যান্ডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছিলেন পল হোয়াইটল। উভয়ে খেলাই ১৯৩২-৩৩ মৌসুমের বডিলাইনের সফর শেষে নিউজিল্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পদার্পণকারী এমসিসি দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। উভয় খেলাতেই দুই ইনিংসে ৫৬৩ রান সংগ্রহকারী ওয়ালি হ্যামন্ডের ক্রীড়ানৈপুণ্যে ভাস্বর ছিল। তন্মধ্যে একবারই আউট হয়েছিলেন ওয়ালি হ্যামন্ড। হোয়াইটল চার ইনিংসে ৬৪ রান তুলে দুইবার অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন।

১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে এরল হোমসের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের বিপক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী খেলায় অংশগ্রহণ করলেও আর তাকে কোন টেস্ট খেলতে দলে রাখা হয়নি।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন পল হোয়াইটল। অ্যালিসন মার্গারেট হল নাম্নী আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের প্রথম মহিলা টেস্ট স্কোরারের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।

২৮ আগস্ট, ১৯৮৮ তারিখে ৭৮ বছর বয়সে অকল্যান্ড এলাকায় পল হোয়াইটলের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]