বিষয়বস্তুতে চলুন

টিপা ফল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

টিপা ফল
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: Angiosperms
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Malpighiales
পরিবার: Salicaceae
গোত্র: Flacourtieae
গণ: Flacourtia
প্রজাতি: F. jangomas
দ্বিপদী নাম
Flacourtia jangomas
(Lour.) Raeusch.
প্রতিশব্দ

Flacourtia cataphracta Roxburgh ex Willdenow.
Flacourtia jangomas

টিপা ফল বা ফেলা/প্যালা গোটা এক ধরনের টক মিষ্টি অপ্রচলিত ফল। এর অন্যান্য নামগুলো হলো- টিপফল, টিপটিপানি, টিপাটিপি, লুকলুকি, পেলাগোটা, প্যালা, পায়েলা, ঝিটকি, পলাগোটা, টরফই, পানিয়ালা, পানি আমলা, পাইন্না, পাইন্যাগুলা, বেহুই ইত্যাদি। এর ইংরেজি নাম Indian plum বা coffee plum এবং বৈজ্ঞানিক নাম Flacourtia jangomas বা Flacourtia cataphracta। এটি নিচুভূমি এবং পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের 'উইলো' পরিবারভুক্ত বৃক্ষ। [][]

বিস্তার

[সম্পাদনা]

এটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়াতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। অনেক অঞ্চলে এটি চাষ করার ক্ষেত্র ছেড়ে মুক্তভাবে জন্মে থাকে। [] এর আদি নিবাস জানা যায়নি তবে ধারণা করা হয়, এটি এশিয়ার ক্রান্তীয় অঞ্চল বা ভারতবর্ষে উদ্ভূত। [][]

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

এটি ছোট গুল্ম বা বৃক্ষ যা দশ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছ কাঁটাযুক্ত। কাঁটাগুলো শাখান্বিত ও যুথবদ্ধ। ডালপালাতেও কাঁটা থাকে। পাতা একক, ডিম্বাকৃতি, কিছুটা লম্বাটে। অগ্রভাগ সূঁচালো। সবুজ রংয়ের পাতা কিছুটা ঢেউ খেলানো থাকে। পাতার কিনারায় সামান্য খাঁজ কাটা থাকে। গাছে মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল আসে। এর ফুল ছোট, সাদাটে সবুজ থেকে বেগুনী এবং সুগন্ধী। ফুল ফোটে গুচ্ছাকারে। ফল গোলাকার মার্বেলের মতো, খোসা পাতলা ও মসৃণ। কাঁচা অবস্থায় সবুজ। কাঁচা ফলও খাওয়া যায়। ফল পাকে জুলাই-আগস্ট মাসে। পাকা ফলের সংরক্ষণ গুণ ভালো। ফল পাকলে লালচে বেগুনী রঙের হয়। পাকা ফলের ভেতরটা বাদামী বা কালচে গোলাপী রঙের। টিপা ফল পাকার পরে টিপে নরম করে খেতে হয়; এই কারণে এমন নামকরণ হয়েছে। আচার বা শরবত করেও এটি খাওয়া হয়। এর ছালে ঔষধি গুণ আছে বলেও অনেকে ধারণা করে থাকেন। [][] কাঠের জন্যেও এই গাছ চাষ করা হয়। 'কুইন্সল্যান্ড ফ্রুট ফ্লাই' (Bactrocera tryoni) নামক এক প্রকার মাছির আবাস ও আশ্রয় হিসেবে এই গাছের পরিচিতি রয়েছে। [] অপ্রচলিত এই ফলটি এখন বাংলাদেশে অনেক সহজলভ্য; এর চাষ ও বাণিজ্যিক উৎপাদন ধীরে ধীরে বাড়ছে।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Hanelt, Peter; Institute of Plant Genetics and Crop Plant Research, সম্পাদকগণ (২০০১)। Mansfeld's Encyclopedia of Agricultural and Horticultural Crops: (Except Ornamentals)। Springer। পৃষ্ঠা 3700। আইএসবিএন 978-3-540-41017-1 
  2. Chandra, Indrani (২০০২-০৮-২৫)। "Study of organogenesis in vitro from callus tissue of Flacourtia jangomas (Lour.) Raeusch through scanning electron microscopy"। Current Science। India: Current Science Association and Indian Academy of Sciences83 (4): 476–479।  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য);
  3. Flacourtia jangomas (Lour.) Raeuschel ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে, Pacific Island Ecosystems at Risk (PIER)
  4. Flacourtia jangomas (Lour.) Raeusch. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে, GRIN Taxonomy for Plants
  5. Botha, John (২০০০)। "Queensland fruit fly Bactrocera tryoni: Exotic threat to Western Australia" (পিডিএফ)AGWEST Factsheet। The Government of Western Australia। ২০০৮-০৯-০১ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৯  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]