বিষয়বস্তুতে চলুন

জিওফ গ্রীনিজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিওফ গ্রীনিজ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জিওফ্রে অ্যালেন গ্রীনিজ
জন্ম (1948-05-26) ২৬ মে ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
ফন্তাবেলে, সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ স্পিন
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৪২)
৬ এপ্রিল ১৯৭২ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট৬ এপ্রিল ১৯৭৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৭ - ১৯৭৬বার্বাডোস
১৯৬৮ - ১৯৭৫সাসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৮২ ১০৭
রানের সংখ্যা ২০৯ ৯১১২ ১৮৭৯
ব্যাটিং গড় ২৯.৮৫ ২৯.৩৯ ২০.২০
১০০/৫০ ০/১ ১৬/৪৫ ০/১১
সর্বোচ্চ রান ৫০ ২০৫ ৮২
বল করেছে ১৫৬ ১৩৫৫
উইকেট ১৩
বোলিং গড় - ৭২.৯২ ৬.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ০/২ ৭/১২৪ ১/৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/০ ৯৫/০ ৩২/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ জুলাই ২০২০

জিওফ্রে অ্যালেন জিওফ গ্রীনিজ (ইংরেজি: Geoff Greenidge; জন্ম: ২৬ মে, ১৯৪৮) সেন্ট মাইকেলের ফন্তাবেলে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগ স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জিওফ গ্রীনিজ

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৬৬-৬৭ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত জিওফ গ্রীনিজের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সাসেক্সের পক্ষে খেললেও মিশ্র সফলতা পান।

১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ খেলার প্রথম ইনিংসে ২০৫ রান ও সাত উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জিওফ গ্রীনিজ। ৬ এপ্রিল, ১৯৭২ তারিখে জর্জটাউনে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৬ এপ্রিল, ১৯৭৩ তারিখে একই মাঠে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৭১-৭২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দল ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে পদার্পণ করে। জর্জটাউন টেস্টের মাধ্যমে জিওফ গ্রীনিজের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৫০ ও অপরাজিত ৩৫ রান তুলেন। এরপর, পোর্ট অব স্পেনে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে ৩৮ ও ২১ রান তুলেন তিনি। তবে, পরবর্তী শীতকালে সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে তাকে বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এরফলে, তাকে দলের বাইরে চলে যেতে হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর, বার্বাডোসের পক্ষে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন ও সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৭৬ সালে শেল শীল্ডে বার্বাডোসের পক্ষে খেলাকালীন বার্বাডোস সরকারের কাছ থেকে বাঁধাপ্রাপ্ত হন ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন। পূর্বেকার শীত মৌসুমে একটি আন্তর্জাতিক দলের সদস্যরূপে তিনি রোডেশিয়া গমন করেছিলেন। শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যালঘু আইনের অধীনে থাকাকালীন রোডেশিয়া গমনের ফলে তার আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনে অকাল সমাপ্তি ঘটে।[] বার্বাডোস দল থেকে তাকে বের করে দেয়া হয় ও দেশে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলা সর্বশেষ শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। এক সময় ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্রেন্ডন ন্যাশকে এ মর্যাদায় স্থান দেয়া হতো। কিন্তু, পরবর্তীতে জানা যায় যে, ব্রেন্ডন ন্যাশ মিশ্রবর্ণের অধিকারী ছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "The hard-nosed Kiwi"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৯ 
  2. Wilde, Simon (২৫ জানুয়ারি ২০০৯), "Brendan Nash cracks Caribbean barrier", The Times, London [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. English, Peter (৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Light Nash no white West Indian"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৮ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]