জাবানিয়াহ
যাবানিয়া (আরবি: الزبانية) হলো ইসলামে বর্ণিত ফেরেশতাদের নাম, যাদেরকে জাহান্নামে পাপীদের শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।[১][২][৩] তারা সূরা আলাক (৯৬:১৮) এ বিশেষভাবে উল্লেখিত। সূরা তাহরিম (৬৬:৬) ও মুদ্দাছির (৭৪:৩০) এ তাদেরকে "উনিশজন জাহান্নামের ফেরেশতা" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সূরায় তাদেরকে "শাস্তিদানকারী ফেরেশতা", "জাহান্নামের প্রহরী",[৪] "জাহান্নামের রক্ষক" বা "দোযখের ফেরেশতা" নামে উল্লেখ করা হয়েছে।[৫]
কেউ কেউ যাবানিয়াদেরকে জাহান্নামের ফেরেশতাদের অধীনস্থ হিসেবে বিবেচনা করেন।[৬] ফেরেশতা হওয়ার কারণে, তাদের ভয়ংকর চেহারা ও কাজের পরেও, যাবানিয়ারা শেষ পর্যন্ত আল্লাহর অধীনস্থ, এবং সেই কারণে ইসলামী ধর্মতত্ত্বে তাদের শাস্তিকে ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করা হয়।[৭]
কুরআন ও হাদিস অনুসারে, যাবানিয়া সংখ্যায় উনিশ এবং মালিক হলেন তাদের নেতা।[৮][৯][১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Ibn Kathir (নভেম্বর ২০১৬)। Hikmatiar, Ikhlas, সম্পাদক। Dahsyatnya Hari Kiamat Rujukan Lengkap Hari Kiamat dan Tanda-Tandanya Berdasarkan Al-Qur'an dan As-Sunnah (Paperback) (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Qisthi Press। পৃষ্ঠা 445। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Tafseer ibn Kathir page 158 part 7"। Islamweb.net (আরবি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 158। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ Christian Lange (২০১৫)। Locating Hell in Islamic Traditions। Brill। পৃষ্ঠা 75। আইএসবিএন 978-90-04-30136-8। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ Stephen Burge (ডিসেম্বর ২২, ২০১৫)। Angels in Islam Jalal Al-Din Al-Suyuti's Al-Haba'ik Fi Akhbar Al-mala'ik (ebook) (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 277, 152। আইএসবিএন 9781136504747। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২৩।আইএসবিএন ৯৭৮-১-১৩৬-৫০৪৭৪-৭
- ↑ Muhammad Sulaiman Al Ashqar। "Surat Al-Mulk Ayat 8; Zubdatut Tafsir Min Fathil Qadir"। Tafsirweb। Islamic University of Madinah; Ministry of Religious Affairs (Indonesia); Ministry of Islamic Affairs, Dawah and Guidance। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২৩।
Zubdatut Tafsir Min Fathil Qadir / Syaikh Dr. Muhammad Sulaiman Al Asyqar, mudarris tafsir Universitas Islam Madinah 8. تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ ۖ (hampir-hampir (neraka) itu terpecah-pecah lantaran marah) Yakni neraka hampir-hampir terpecah akibat besarnya kemarahannya terhadap orang-orang kafir. كُلَّمَآ أُلْقِىَ فِيهَا فَوْجٌ(Setiap kali dilemparkan ke dalamnya sekumpulan (orang-orang kafir)) Makna (الفوج) adalah sekelompok manusia. سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَآ(penjaga-penjaga (neraka itu) bertanya kepada mereka) Yakni para malaikat penjaga neraka bertanya untuk memperolok mereka. أَلَمْ يَأْتِكُمْ(Apakah belum pernah datang kepada kamu) Ketika di dunia.
- ↑ Mohammed Rustom The Triumph of Mercy: Philosophy and Scripture in Mulla Sadra SUNY Press 2012 আইএসবিএন ৯৭৮১৪৩৮৪৪৩৪১৬ p. 90
- ↑ Lange 2015, পৃ. 274।
- ↑ Lukman Hakiem; Sultan Mufit; Muhammad Miftahudin (জুলাই ২০১০)। Faisal Baasir politik jalan terus; Dahsyatnya Neraka Jahannam (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Yayasan Dharmapena Nusantara। পৃষ্ঠা 219–220। আইএসবিএন 9789799533050। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ Thomas Patrick Hughes (২০০৯)। A Dictionary of Islam Being a Cyclopædia of the Doctrines, Rites, Ceremonies, and Customs, Together with the Technical and Theological Terms, of the Muhammadan Religion (ইংরেজি ভাষায়)। W.H. Allen / Oxford University। পৃষ্ঠা 15। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ James R Lewis; Evelyn Dorothy Oliver (২০০৮)। Angels A to Z (ebook) (ইংরেজি ভাষায়)। Visible Ink Press। পৃষ্ঠা 233। আইএসবিএন 9781578592579। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৩।