জর্জ স্টিভেন্স
জর্জ স্টিভেন্স | |
---|---|
George Stevens | |
জন্ম | জর্জ কুপার স্টিভেন্স ১৮ ডিসেম্বর ১৯০৪ ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ৮ মার্চ ১৯৭৫ ল্যাঙ্কেস্টার, ক্যালিফোর্নিয়া | (বয়স ৭০)
সমাধি | ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, হলিউড হিলস |
পেশা | পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, চিত্রগ্রাহক |
কর্মজীবন | ১৯১৫-১৯৭০ |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইভোন হাওয়েল (বি. ১৯৩০; বিচ্ছেদ. ১৯৪৭) জোন ম্যাকটেভিশ (বি. ১৯৬৮; মৃ. ১৯৭৫) |
সন্তান | জর্জ স্টিভেন্স জুনিয়র |
জর্জ কুপার স্টিভেন্স (ইংরেজি: George Cooper Stevens; ১৮ ডিসেম্বর ১৯০৪ - ৮ মার্চ ১৯৭৫) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও চিত্রগ্রাহক।[১] তিনি তার চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত বুদ্ধিমত্তা, মহান মানবিকতা, ও চমকপ্রদ চিত্রধারণ কৌশলের জন্য সর্বাধিক পরিচিত।[২] তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক ওম্যান অব দ্য ইয়ার (১৯৪২), নাট্যধর্মী আ প্লেস ইন দ্য সান (১৯৫১), পশ্চিমা ধাঁচের শেন (১৯৫৩) ও জায়ান্ট (১৯৫৬), এবং নাট্যধর্মী দ্য ডায়েরি অব আন ফ্রাংক (১৯৫৯)। আ প্লেস ইন দ্য সান ও জায়ান্ট চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তাকে ১৯৫৪ সালে আরভিং জি. থালবার্গ স্মারক পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯ সালে তিনি একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]জর্জ স্টিভেন্স ১৯০৪ সালের ১৮ই ডিসেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যাণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ল্যান্ডার্স স্টিভেন্স ও মাতা জর্জি কুপার দুজনেই মঞ্চ অভিনয়শিল্পী ছিলেন। তার চাচা অ্যাশটন স্টিভেন্স ছিলেন একজন নাট্য সমালোচক। তার দুই ভাই ছিল, তারা হলেন জ্যাক ও লেখক অ্যাস্টন স্টিভেন্স। জর্জ তার পিতামাতার নিকট থেকে মঞ্চ বিষয়ক জ্ঞান লাভ করেন এবং মঞ্চে কাজ করেন ও বিভিন্ন সফরে যান, যা তার চলচ্চিত্র নির্মাণের পথ সুগম করে দেয়।[২]
চলচ্চিত্র কর্মজীবন
[সম্পাদনা]তিনি আলোকচিত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আগমন করেন এবং ১৯২০-এর দশকের শুরুর দিকে হাল রোচ স্টুডিওর চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন। হাল রোচ স্টুডিওর অধীনে তার প্রথম কাজ হল লরেল ও হার্ডি'র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রাফেস্ট আফ্রিকা (১৯২৩)। এরপর তিনি এই জুটির অসংখ্য স্বল্পদৈর্ঘ্যে কাজ করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সুগার ড্যাডিস (১৯২৭), টু টারস (১৯২৮), বেকন গ্র্যাবার্স (১৯২৯), নাইট আউলস (১৯৩০) ও বিলো জিরো (১৯৩০)।[২]
তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হল ইউনিভার্সাল পিকচার্সের দ্য কোহেন্স অ্যান্ড কেলিস ইন ট্রাবল (১৯৩৩)। এরপর তিনি নির্মাণ করেন আরকেও'র স্বল্প নির্মাণ ব্যয়ের স্টুয়ার্ট এরউইন ও রোশেল হাডসন অভিনীত প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক ব্যাচেলর বেইট এবং জর্জ ম্যাকফারল্যান্ড, নোয়াহ বিরি ও মার্গারেট ডুমন্ট অভিনীত প্রহসনধর্মী কেন্টাকি কার্নেলস।[২]
তার প্রথম সফলতা আসে ১৯৩৫ সালে ক্যাথরিন হেপবার্ন অভিনীত অ্যালিস অ্যাডামস চলচ্চিত্র পরিচালনা করে। এটি বুথ টার্কিংটনের পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। ১৯৩০-এর দশকের শেষভাগে তিনি নৃত্য-যুগল জিঞ্জার রজার্স ও ফ্রেড অ্যাস্টেয়ার অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ১৯৪০ সালে তিনি ক্যারল লমবার্ড অভিনীত ভিজিল ইন দ্য নাইট চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মরণার্থে ইউরোপীয় দর্শকদের জন্য ছবিটির ভিন্ন সমাপ্তি ছিল।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]স্টিভেন্স ছিলেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও লেখক জর্জ স্টিভেন্স জুনিয়রের পিতা। স্টিভেন্স জুনিয়র আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের প্রথম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক। তিনি তার পিতাকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র জর্জ স্টিভেন্স: আ ফিল্মমেকার্স জার্নি (১৯৮৪) নির্মাণ করেন। স্টিভেন্সের নাতী মাইকেল স্টিভেন্স (১৯৬৬-২০১৫) একজন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক ছিলেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]স্টিভেন্স ১৯৭৫ সালের ৮ই মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার ল্যাঙ্কেস্টারে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউড হিলসের ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্কে সমাহিত করা হয়।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "অবিচুয়ারি", ভ্যারাইটি, ১২ মার্চ ১৯৭৫, পৃ. ৭৯।
- ↑ ক খ গ ঘ "George Stevens | American director"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯।
- ↑ স্লাইড, অ্যান্টনি (২০১৬)। She Could Be Chaplin!: The Comedic Brilliance of Alice Howell (ইংরেজি ভাষায়)। মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ১৪৪। আইএসবিএন 9781496808448। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জর্জ স্টিভেন্স (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে জর্জ স্টিভেন্স (ইংরেজি)
অলাভজনক সংস্থার অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী জর্জ সিটন |
একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সভাপতি ১৯৫৮–১৯৫৯ |
উত্তরসূরী বি. বি. কাহানে |
- ১৯০৪-এ জন্ম
- ১৯৭৫-এ মৃত্যু
- ক্যালিফোর্নিয়ার চলচ্চিত্র পরিচালক
- ক্যালিফোর্নিয়ার চলচ্চিত্র প্রযোজক
- ক্যালিফোর্নিয়ার চিত্রনাট্যকার
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা
- মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক
- মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক
- মার্কিন চিত্রগ্রাহক
- মার্কিন পুরুষ চিত্রনাট্যকার
- শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী
- আরভিং জি. থালবার্গ স্মারক পুরস্কার প্রাপক
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার বিজয়ী প্রযোজক
- ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকা পুরস্কার বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার বিজয়ী
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন চিত্রনাট্যকার
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন ব্যবসায়ী
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন পুরুষ লেখক
- ক্যালিফোর্নিয়ার সমাজকর্মী
- হলিউড হিলসের ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্কে সমাহিত
- একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সভাপতি
- লিজিওন অব মেরিট প্রাপক
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মার্কিন সেনা কর্মকর্তা