ঘেট কচু
খারকোন Typhonium trilobatum | |
---|---|
ঘেট কচুর গাছ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Tracheophyta |
শ্রেণী: | Liliopsida |
বর্গ: | Alismatales |
পরিবার: | Araceae |
গণ: | Typhonium |
প্রজাতি: | Typhonium trilobatum |
দ্বিপদী নাম | |
Typhonium trilobatum (L.) Schott | |
প্রতিশব্দ | |
Typhonium triste |
ঘেট কচু বা খারকোন (বৈজ্ঞানিক নাম: Typhonium trilobatum) Araceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ প্রজাতি। অন্যান্য স্থানীয় নাম: ঘের কচু,ঘেটওল,ঘেটকোল,খারকান, খারকন, খানমান ইত্যাদি। রংপুর অঞ্চলে এটি চামঘাস নামেও পরিচিত। আদিবাসি চাকমা সম্প্রদায় খারকন কে খারবাস, খারাকেও, গাড়ো সম্প্রদায় কালমান বলে।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]খারকোন শাকের গাছের ডাটা লম্বা হয়। পাতা গাড় সবুজ রং। ডাটার রং কিছুটা খয়েরি। পাতা দেখতে তিন কোনা খাজ কাটা হয়। লাল রং এর ফুল হয়।ফুল দেখতে অনেকটা কলমের মত।
চট্টগ্রাম,পার্বত্য চট্টগ্রাম,টাংগাইল,সিলেট এবং ঢাকায় এই শাক পাওয়া যায়।
প্রধান ব্যবহার
[সম্পাদনা]শাক হিসেবে খায়, ওষুধি অন্যান্য ব্যবহার :প্রধান ব্যবহার: এই শাকের ডাটাসহ পাতা রসুন কালোজিরা,শুকনা মরিচ ভেজে পাটায় বেটে ভর্তা করে খাওয়া হয়। টাংগাইল এলাকায় গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ খুদের ভাতের সাথে এই শাকের ভর্তা খেতে খুব পছন্দ করে। এছাড়া অনেকে ডাটা ছোট ছোট করে কেটে ভেজে শুঁটকি মাছ দিয়ে রান্না করে খায়।
এই শাকের ডাটাসহ পাতা রসুন, পেঁয়াজ, কালোজিরা, শুকনা মরিচ সরিষার তেলে ভেজে পাটায় বেটে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে ভর্তা করে খাওয়া যায়। অনেক এলাকায় খুদের ভাতের সাথে এই শাকের ভর্তা খেতে খুব পছন্দ করে। এছাড়া অনেকে এটির ডাটা ছোট ছোট করে কেটে ভেজে শুঁটকি মাছ দিয়ে রান্না করে খায়। তবে ভাতের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার সময় লেবু বা তেঁতুল মিশিয়ে খেলে গলা চুলকানোর ভয় থাকে না।
এছাড়াও কুচিকুচি করে কেটে রসুন, পেয়াজ, তেল ইত্যাদি দিয়ে দীর্ঘক্ষণ অল্পতাপে জ্বাল দিয়ে শাক হিসাবে খাওয়া হয়।
ওষুধি ব্যবহার
[সম্পাদনা]কলার সাথে খারকোন খেলে পাকস্থলীর সমস্যা ভাল হয়ে যায়। গরুর শরীরে ঘা হলে গাড়ো সম্প্রদায়ের মানুষ এই শাকের শিকড় মিহি করে বেটে পেষ্ট তৈরি করে সেখানে ব্যবহার করে।