ঋণশব্দ
কোনো ভাষার ঋণশব্দ বলতে অন্য ভাষা থেকে সরাসরিভাবে আগত শব্দকে বোঝায়।[১] ভিন্ন লিখন পদ্ধতির ভাষা থেকে আগত ঋণশব্দের সাধারণত প্রতিবর্ণীকরণ করা হয় কিন্তু অনুবাদ করা হয় না। এছাড়া, কোনো ভাষার ঋণশব্দ ঐ ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব, লিখনবিধি ও রূপমূলতত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে (যেমন ইংরেজি lantern শব্দটি বাংলায় "লন্ঠন" শব্দে বিবর্তিত হয়েছে)। কোনো ভাষার ঋণশব্দ যদি ঐ ভাষার নিয়মাবলীর সঙ্গে আত্তীকৃত হয় তাহলে সেই শব্দকে কেবল ব্যুৎপত্তির দ্বারা নিজস্ব শব্দ থেকে আলাদা করা যায়। তবে অনেকসময় এই আত্তীকরণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যার ফলে ঐ ঋণশব্দ গ্রহীতা ভাষা থেকে ভিন্ন কিছু বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে পারে, যেমন: আগত ধ্বনিমূল ("আইসক্রিম" শব্দের "স" বর্ণের উচ্চারণ), মূল বানান আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বজায় রাখা, বিদেশি বিভক্তি বা কারক ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় ঋণশব্দ
[সম্পাদনা]বাংলা ভাষায় ঋণশব্দকে সাধারণত তিনভাগে ভাগ করা হয়: তৎসম শব্দ (সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত), দেশি শব্দ (আদিবাসী ভাষা থেকে আগত) ও বিদেশি শব্দ (অন্যান্য ভাষা থেকে আগত)।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুঘল, আরব, ফার্সি, তুর্কি, মঙ্গোল, পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ আর ব্রিটিশদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকার কারণে বাংলা ভাষাটি বিদেশী ভাষাসমূহ থেকে অগণিত শব্দ গৃহীত করেছে। কিছু খুব সাধারণ ঋণশব্দগুলো আরবি, ফার্সি, তুর্কি, জাপানি, সংস্কৃত, ওলন্দাজ, পর্তুগিজ, ফরাসি, ইংরেজি ও আদিবাসী ভাষাগুলো থেকে গ্রহণ করা।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Accessible Dictionary"। accessibledictionary.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২২।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |