আমিনুর রহমান শামসুদ দোহা
আমিনুর রহমান শামসুদ দোহা | |
---|---|
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ মার্চ ১৯৮২ – জুন ১৯৮৪ | |
পূর্বসূরী | এ এস এম মুস্তাফিজুর রহমান |
উত্তরসূরী | হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী |
বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা | |
কাজের মেয়াদ ৩১ মার্চ ১৯৮২ – ১০ মে ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | শামসুল হুদা চৌধুরী |
উত্তরসূরী | সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম |
সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ মার্চ ১৯৮২ – জুন ১৯৮৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আমিনুর রহমান শামসুদ দোহা ১৯২৯ মুর্শিদাবাদ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান: ভারত) |
মৃত্যু | ৩ মার্চ ২০১২ লেবানন |
সমাধিস্থল | লেবানন |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি |
সন্তান | ২ ছেলে |
পিতামাতা | এএইচএম শামসুদ দোহা (পিতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ |
ডাকনাম | এ আর এস দোহা / এ আর শামসুদ দোহা |
আমিনুর রহমান শামসুদ দোহা (১৯২৯ - ৩ মার্চ ২০১২, যিনি এ আর এস দোহা বা এ আর শামসুদ দোহা নামে পরিচিত ছিলেন) একজন বাংলাদেশী কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়াবিদ ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]শামসুদ দোহা ১৯২৯ সালে মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রয়াত এএইচএম শামসুদ দোহার জ্যেষ্ঠ পুত্র। যিনি (আমিনুর রহমান শামসুদ দোহার পিতা) একজন প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় খাদ্য, কৃষি মন্ত্রী।
এ আর এস দোহা ১৯৪৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার আগে সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজে এবং কলকাতা সেন্ট পলস স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন।
তিনি একজন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাথলেটিক্স দলের একজন অধিনায়ক এবং ১৯৪৮ সালের লন্ডন অলিম্পিকে সর্বভারতীয় প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল কিন্তু দেশভাগের কারণে তিনি তা করতে পারেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]আমিনুর রহমান শামসুদ দোহা ১৯৫০ এর দশকে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে সোর্ড অফ অনার ক্যাডেট হিসাবে স্নাতক হওয়ার পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]আমিনুর রহমান শামসুদ দোহা ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে রাওয়ালপিন্ডি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তানে সাপ্তাহিক ইন্টার উইং প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
তার রাজনৈতিক মতামতের জন্য তৎকালীন ইয়াহিয়া খান সরকার তাকে তিনবার গ্রেফতার করে জেলে নেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর তিনি যুগোস্লাভিয়া, ইরান এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ৩১ মার্চ ১৯৮২ থেকে ১০ মে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রীসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন।
প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রীসভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ১০ মে ২০২৩ থেকে ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মার্চ ১৯৮২ থেকে জুন ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি এরশাদের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।[১] একই সময়ে তিনি সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তিনি ঢাকা ভিত্তিক সাপ্তাহিক ডায়ালগ পাবলিকেশন্স প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]আমিনুর রহমান শামসুদ দোহা যুগোস্লাভিয়া অর্ডার অফ দ্য ফ্ল্যাগ এবং দক্ষিণ কোরিয়ান অর্ডার অফ ডিপ্লোম্যাটিক সার্ভিস মেরিটে ভূষিত হন।
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]আমিনুর রহমান শামসুদ দোহার দুই ছেলে ছিল শহীদ দোহা এবং নাসির দোহা। তার শ্যালক ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইদ্রিস, যিনি পাকিস্তান পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]আমিনুর রহমান শামসুদ দোহা ৩ মার্চ ২০১২ সাল শনিবার লেবাননে মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাকে শায়িত করা হয়।[২][৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীগণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Ex-foreign minister Doha passes away"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মার্চ ২০১২। ২৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Bangladesh's former FM Shamsud Doha dies"। ডন। ১০ মার্চ ২০১২। ২৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২৩।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী এ এস এম মুস্তাফিজুর রহমান |
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৮২-১৯৮৪ |
উত্তরসূরী হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী |