সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের ডেল্টা প্রকারণ

সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের ডেল্টা প্রকারণ, যা বি.১.৬১৭.২ বংশ নামেও পরিচিত, করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) সৃষ্টিকারী সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের একটি প্রকারণ, যা ভাইরাসটির বি.১.৬১৭ বংশের অন্তর্ভুক্ত।^[১] এটি ২০২০ সালের শেষভাগে ভারতে প্রথম শনাক্ত করা হয়।^[২]^[৩] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালের মে মাসে এটিকে ডেল্টা প্রকারণ নামকরণ করে।^[৪]

সার্স-কোভি-২ কীলক প্রোটিনের সংকেত বহনকারী বংশাণুটিতে একাধিক পরিব্যক্তি (টি৪৭৮কে এবং এল৪৫২আর)^[৫] ঘটে এই প্রকারণটি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আদি বন্য প্রকারের ভাইরাসের তুলনায় এই প্রকারণটির সংবহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটিকে প্রতিবস্তু (অ্যান্টিবডি) দ্বারা নিষ্ক্রিয়করণের সম্ভাবনাও কমে গেছে। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড ২০২১ সালের মে মাসে লক্ষ করে যে আলফা প্রকারণের তুলনায় ডেল্টা প্রকারণের আক্রমণের হার ৫১-৬৭% বেশি।^[৬]

২০২১ সালের ৭ই মে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড প্রকারণটিকে অনুসন্ধানাধীন প্রকারণ থেকে উদ্বেগজনক প্রকারণে পুনর্শ্রেণীবিন্যস্ত করে, কেননা তারা এটির সংবহনযোগ্যতা কমপক্ষে আলফা প্রকারণের সমান হিসেবে মূল্যায়ন করে।^[৭] এর পরে ১১ই মে, ২০১১ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই বংশটিকে উদ্বেগজনক প্রকারণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে। এই প্রকারণটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস রোগের মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়।^[৮]^[৯]^[১০]

তথ্যসূত্র

↑ "Confirmed cases of COVID-19 variants identified in UK"। www.gov.uk। ১৫ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২০।
↑ "Tracking of Variants"। gisaid.org। GISAID। ২৬ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২১।
↑ "Expert reaction to cases of variant B.1.617 (the 'Indian variant') being investigated in the UK"। Science Media Centre। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
↑ "Covid: WHO renames UK and other variants with Greek letters"। BBC News। ২০২১-০৫-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০৮।
↑ "expert reaction to VUI-21APR-02/B.1.617.2 being classified by PHE as a variant of concern"। sciencemediacentre.org। ২০২১-০৫-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৮।
↑ "SARS-CoV-2 variants of concern and variants under investigation in England" (পিডিএফ)। ২৭ মে ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৮।
↑ "Confirmed cases of COVID-19 variants identified in UK"। www.gov.uk। ৭ মে ২০২১। ৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৭।
↑ WHO labels a Covid strain in India as a 'variant of concern' — here's what we know, CNBC, 11 May 2021.
↑ "WHO says India Covid variant of 'global concern'", BBC News, 11 May 2021.
↑ "India's second COVID-19 wave", The Wire Science, 22 April 2021.

[gov.uk-1] "Confirmed cases of COVID-19 variants identified in UK"। www.gov.uk। ১৫ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২০।

[GISAID-2] "Tracking of Variants"। gisaid.org। GISAID। ২৬ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২১।

[SMC1-3] "Expert reaction to cases of variant B.1.617 (the 'Indian variant') being investigated in the UK"। Science Media Centre। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।

[BBC.May.31.2021-4] "Covid: WHO renames UK and other variants with Greek letters"। BBC News। ২০২১-০৫-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০৮।

[5] "expert reaction to VUI-21APR-02/B.1.617.2 being classified by PHE as a variant of concern"। sciencemediacentre.org। ২০২১-০৫-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৮।

[6] "SARS-CoV-2 variants of concern and variants under investigation in England" (পিডিএফ)। ২৭ মে ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৮।

[gov.uk.May.7-7] "Confirmed cases of COVID-19 variants identified in UK"। www.gov.uk। ৭ মে ২০২১। ৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৭।

[:0-8] WHO labels a Covid strain in India as a 'variant of concern' — here's what we know, CNBC, 11 May 2021.

[:1-9] "WHO says India Covid variant of 'global concern'", BBC News, 11 May 2021.

[10] "India's second COVID-19 wave", The Wire Science, 22 April 2021.

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

দে স সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের প্রকারণসমূহ
উদ্বেগজনক প্রকারণ	আলফা বিটা গামা ডেল্টা ওমিক্রন
আগ্রহজনক প্রকারণ	এপসাইলন জিটা ইটা থিটা আইওটা ল্যাম্বডা কাপ্পা মিউ