ক্রোয়েশিয়া জাতীয় ফুটবল দল
দলের লোগো | |||
ডাকনাম | Vatreni (The Blazers) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | Croatian Football Federation | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | নিকো কোভাচ | ||
অধিনায়ক | দারিও সানা | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | দারিও সানা (১১১) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | ডাভর শুকের (৪৫) | ||
ফিফা কোড | CRO | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২০ | ||
সর্বোচ্চ | ৩ (জানুয়ারি, ১৯৯৯) | ||
সর্বনিম্ন | ১২৫ (মার্চ, ১৯৯৪) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২৩ | ||
সর্বোচ্চ | ৪ (জুলাই, ২০১৩) | ||
সর্বনিম্ন | ২৬ (অক্টোবর, ২০০২) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
Unofficial Croatia 2–1 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (Zagreb, Croatia; 17 October 1990) Official অস্ট্রেলিয়া 1–0 Croatia (Melbourne, Australia; 5 July 1992) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
Croatia 7–0 অস্ট্রেলিয়া (Zagreb, Croatia; 6 June 1998) Croatia 7–0 অ্যান্ডোরা (Zagreb, Croatia; 7 October 2006) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
ইংল্যান্ড 5–1 Croatia (London, England; 9 September 2009) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৪ (১৯৯৮-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | ৩য় স্থান, ১৯৯৮ | ||
ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশীপস | |||
অংশগ্রহণ | ৪ (১৯৯৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | কোয়ার্টার-ফাইনাল, ১৯৯৬, ২০০৮ |
ক্রোয়েশিয়া জাতীয় ফুটবল দল (ক্রোয়েশীয়: Hrvatska nogometna reprezentacija) ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় ফুটবল দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করছে। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ পরিচালনা পরিষদ ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক দলটি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৪ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে ফিফা স্বীকৃতপ্রাপ্ত দল হিসেবে ব্যানোভিনা অব ক্রোয়েশিয়া এবং স্বাধীন রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়া উনিশটি প্রদর্শনী ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করেছিল।[১] কিন্তু ১৯৪৫ সালে ক্রোয়েশিয়া যুগোস্লাভিয়ার সাথে একীভূত হলে দলটি বিলুপ্ত হয়। ১৯৪৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া পৃথক দল হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণ করেনি। তখন ক্রোয়েশীয় খেলোয়াড়েরা যুগোস্লাভিয়া জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে অংশগ্রহণ করে।
ইতিহাস
যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই আধুনিককালের ক্রোয়েশীয় দল ১৯৯১ সালে গঠন করা হয়। এরপর ১৯৯৩ সালে ফিফা ও উয়েফা’র সদস্যপদ লাভ করে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দল।[২] প্রথমবারের মতো বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশ নিয়ে তারা তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে ও ১৯৯৬ সালের উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[১] ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় দলটি। প্রতিযোগিতায় তারা তৃতীয় স্থান লাভ করে বিশ্ব ফুটবলে সাড়া জাগায়। দলের পক্ষে ডাভর শুকের শীর্ষ গোলদাতার ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হন ও বিশ্বকাপের সোনার বুট লাভ করেন। এরপর থেকেই ক্রোয়েশিয়া দল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাসমূহে নিয়মিতভাবে অংশ নিলেও ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০০০ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিতে পারেনি।[৩]
অবকাঠামো
নিজেদের মাঠের অধিকাংশ খেলাই জাগরেবের ম্যাকসিমির স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও খেলার মূল্যমান অনুযায়ী স্প্লিতের পোলজাড স্টেডিয়ামসহ রিজেকার স্টেডিওন কানত্রিদা কিংবা অসিজেকের স্টেডিওন গ্রাদস্কি ভিআরটিতে অনুষ্ঠিত হয়।
তন্মধ্যে ম্যাকসিমির স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতামূলক ৩৬ খেলায় দলটি অপরাজিত ছিল। এ ধারাবাহিকার অবসান ঘটে ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে।[১][৪][৫][৬]
সাফল্যগাঁথা
১৯৯৪ ও ১৯৯৮ সালে ফিফা কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বছরের সেরা অগ্রসরমান দলের মর্যাদা পায় ও পুরস্কৃত হয়। এ তালিকায় কলম্বিয়া দলও দুইবার স্থান পেয়েছিল।[৭][৮] শুরুতে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ক্রোয়েশিয়ার অবস্থান ছিল ১২৫তম। কিন্তু ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে ও র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে চলে আসে যা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে পরিবর্তনশীল দলে রূপান্তরিত হয়।[৯][১০][১১]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ Kramarsic, Igor/Puric, Bojan। "Croatia International matches"। Rec. Sport Soccer Statistics Foundation। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০০৮।
- ↑ "Goal Programme – Croatian Football Federation – 2006"। Fédération Internationale de Football Association (FIFA.com)। ১৭ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- ↑ "Fantasy Euro2008"। The World Game। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০০৮। [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Lawrence, Amy (৮ অক্টোবর ২০০৬)। "England? They are pretty bad"। London: The Observer। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০০৮।
- ↑ Stevenson, Jonathan (১১ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Croatia 1-4 England"। British Broadcasting Corporation (BBC Sport)। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- ↑ Nitsak, Igor (৯ অক্টোবর ২০০৮)। "Bilic tempted to reshuffle team for Ukraine clash"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০০৮।
- ↑ http://www.fifa.com/worldranking/news/newsid=1974233/index.html
- ↑ "FIFA Best Mover of the Year awards"। Fédération Internationale de Football Association (FIFA.com)। ২০ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০০৮।
- ↑ "Croatia follow in golden footsteps"। Fédération Internationale de Football Association (FIFA.com)। ৭ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "Croatia eyeing top ten"। Fédération Internationale de Football Association (FIFA.com)। ৩ মার্চ ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "Croatia – FIFA World Rankings"। Fédération Internationale de Football Association (FIFA.com)। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০০৮।
আরও দেখুন
গ্রন্থপঞ্জী
- Ramet. P, Sabrina (২০০৫)। Thinking about Yugoslavia। Cambridge University। আইএসবিএন 0-521-85151-3।
- Klemenčić, Mladen (২০০৪)। Nogometni leksikon। Miroslav Krleža lexicographic institute। আইএসবিএন 953-6036-84-3।
- Perica, Vjekoslav (২০০২)। Balkan Idols: Religion and Nationalism in Yugoslav States। Oxford US। আইএসবিএন 0-19-517429-1।
- Foster, Jane (২০০৪)। Footprint Croatia। Footprint Travel Guides। আইএসবিএন 1-903471-79-6।
- Bellamy. J, Alex (২০০৩)। The Formation of Croatian National Identity। Manchester University Press। আইএসবিএন 0-7190-6502-X।
- Giulianotti, Richard (১৯৯৭)। Entering the Field: New Perspectives on World Football। Berg Publishers। আইএসবিএন 1-85973-198-8।
বহিঃসংযোগ
- Croatian Football Federation official website
- Official supporters' club website (ক্রোয়েশীয়)
- Detailed list of all Croatia's games (ক্রোয়েশীয়) (Last updated 9 September 2009)
- Croatia – List of international matches at RSSSF (Last updated 16 May 2008)
- Croatia – Players' stats at RSSSF (Last updated 29 March 2011)
- Information about Croatia at Sportnet.hr (ক্রোয়েশীয়)
- Official website of Sportske novosti (ক্রোয়েশীয়)