বিষয় চলচ্চিত্র সত্যজিৎ রায় রচিত চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রবন্ধের সংকলন হিসেবে প্রকাশিত একটি বই। এতে তিনি তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাণের কৌশল এবং পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন এবং তাঁর ছবির বেশ কিছু সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। ১৯৮২ সালের জানুয়ারিতে বইটির প্রথম পেপারব্যাক সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশক কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স।
প্রবন্ধসমূহ— চলচ্চিত্রের ভাষা: সেকাল ও একাল (১৯৬৯) সোভিয়েত চলচ্চিত্র (১৯৬৭) অতীতের বাংলা ছবি (১৯৭৮) বাংলার চলচ্চিত্রের আর্টের দিক (১৯৬০) চলচ্চিত্র-রচনা: আঙ্গিক, ভাষা ও ভঙ্গি (১৯৫৯) ডিটেল সম্পর্কে দু'চার কথা (১৯৬৮) চলচ্চিত্রের সংলাপ প্রসঙ্গে (১৯৬৩) আবহসঙ্গীত প্রসঙ্গে (১৯৬৪) দু'টি সমস্যা (১৯৬৭) পরিচালকের দৃষ্টিতে সমালোচক (১৯৬৫) 'অপুর সংসার' প্রসঙ্গে (১৯৫৯) চারুলতা প্রসঙ্গে (১৯৬৪) ওরফে ইন্দির ঠাকুরণ (১৯৫৫) দুই চরিত্র (১৯৬২) একথা সেকথা (১৯৭০) রঙীন ছবি (১৯৭২) বিনোদ-দা (১৯৭১) শতাব্দীর সিকি ভাগ (১৯৮০)
Satyajit Ray (Bengali: সত্যজিৎ রায়) was an Indian filmmaker and author of Bengali fiction and regarded as one of the greatest auteurs of world cinema. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and watching Vittorio De Sica's Italian neorealist 1948 film, Bicycle Thieves.
Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents.
Ray's first film, Pather Panchali (1955), won eleven international prizes, including Best Human Documentary at the Cannes Film Festival. This film, Aparajito (1956) and Apur Sansar (1959) form The Apu Trilogy. Ray did the scripting, casting, scoring, and editing, and designed his own credit titles and publicity material. Ray received many major awards in his career, including 32 Indian National Film Awards, a number of awards at international film festivals and award ceremonies, and an Academy Award in 1992. The Government of India honoured him with the Bharat Ratna in 1992.
Early Life and Background: Ray's grandfather, Upendrakishore Ray Chowdhury was a writer, illustrator, philosopher, publisher, amateur astronomer and a leader of the Brahmo Samaj, a religious and social movement in nineteenth century Bengal. Sukumar Ray, Upendrakishore's son and father of Satyajit, was a pioneering Bengali author and poet of nonsense rhyme and children's literature, an illustrator and a critic. Ray was born to Sukumar and Suprabha Ray in Calcutta.
Ray completed his B.A. (Hons.) in Economics at Presidency College of the University of Calcutta, though his interest was always in Fine Arts. In 1940, he went to study in Santiniketan where Ray came to appreciate Oriental Art. In 1949, Ray married Bijoya Das and the couple had a son, Sandip ray, who is now a famous film director.
Literary Works: Ray created two of the most famous fictional characters ever in Bengali children's literature—Feluda, a sleuth in Holmesian tradition, and Professor Shonku, a genius scientist. Ray also wrote many short stories mostly centered on Macabre, Thriller and Paranormal which were published as collections of 12 stories. Ray wrote an autobiography about his childhood years, Jakhan Choto Chilam (1982). He also wrote essays on film, published as the collections: Our Films, Their Films (1976), Bishoy Chalachchitra (1976), and Ekei Bole Shooting (1979).
Awards, Honors and Recognitions: Ray received many awards, including 32 National Film Awards by the Government of India. At the Moscow Film Festival in 1979, he was awarded for the contribution to cinema. At the Berlin Film Festival, he was one of only three to win the Silver Bear for Best Director more than once and holds the record for the most Golden Bear nominations, with seven. At the Venice Film Festival, he won a Golden Lion for Aparajito(1956), and awarded the Golden Lion Honorary Award in 1982. In 1992 he was posthumously awarded the Akira Kurosawa Award for Lifetime Achievement in Directing at the San Francisco International Film Festival.
একইসাথে গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক হওয়াটা দুর্লভ ও দুরূহ ব্যাপার । আর এই দুই গুণে গুণান্বিত সত্যজিৎ রায় যখন চলচ্চিত্র নিয়ে বই লেখেন,তখন তা কোন মানের হতে পারে তা সহজেই অনুমেয় । বইটিতে 'দেশ' পত্রিকায় তার লেখা ১৬ টি চলচ্চিত্রবিষয়ক রচনা ও 'অপুর সংসার' এবং চারুলতা চলচ্চিত্রের সমালোচনার জবাব স্থান পেয়েছে । চলচ্চিত্রের শুরুর ইতিহাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজের বিশ্লেষণ ও ধরণ , অভিনয় , সিনেমাটোগ্রাফি , চিত্রনাট্য , আবহ সঙ্গীত , চলচ্চিত্রের ভাষা , বাংলা চলচ্চিত্র এবং শুটিং এর মজার কাহিনীর মত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মতামত প্রকাশ পেয়েছে বইটিতে । মোটকথা চলচ্চিত্রের সকল বিষয় নিয়েই বইটি ।
বইয়ের এক জায়গায় সাদা-কালো ও রঙিন চলচ্চিত্রের পার্থক্য বলতে গিয়ে সত্যজিৎ লেখলেন ''বাঙালি মেয়ের সিঁথির সিঁদুর , সাদা-কালো ছবিতে চুলের সঙ্গে তফাৎ করা যায় না । রঙিন ছবিতে শুধু মেয়ের মুখের ক্লোজ-আপ দেখিয়েই বুঝিয়ে দেয়া যায় সে কুমারী না বিবাহিতা '' । বাংলার সামাজিক প্রেক্ষাপটে কত সহজে দেখিয়ে দিলেন সাদা-কালো ও রঙিন চলচ্চিত্রের পার্থক্য ।
বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজ ও 'ফিল্ম গ্রামার' সম্পর্কে পাঠকের জানাশোনা থাকলে বইটি আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে । জাপানি চলচ্চিত্র নির্মাতা আকিরা কুরোসাওয়া বলেছিলেন “ যখন সত্যজিৎ রায় মারা গেল , আমি তখন খুবই বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম । কিন্তু আব্বাস কিয়ারোস্তামি’র ছবি দেখার পর আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই , কারণ তিনি সত্যজিৎের জায়গায় একদম ঠিক লোককেই পাঠিয়েছেন '' । আফসোস কোনো বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা তার জায়গাটা নিতে পারলোনা ।
* চলচ্চিত্র আমার জ্ঞান যে কত্ত সীমাবদ্ধ, বইটা পড়তে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পেলাম...
* কেউই আসলে সমালোচনা সহ্য করতে পারে না, মুখে যতোই মুক্তমনা বলুক না কেন... তারা বলে, তারা 'গঠনমূলক সমালোচনা ' চায়... এই জিনিসটা আসলে আমার মাথাতেও খেলে না, এইটা আসলে ক্যামনে ব্যাখ্যা করা সম্ভব! আজিব বাত ...
শুরুতে পড়তে বেশ কাঠখোট্টা মনে হতে পারে অনেকের। কিন্তু শিল্প সচেতন এবং সংস্কৃতিমনা যেকোনো আত্মার মুগ্ধতার জন্য যথেষ্ট উপাদান এতে বিদ্যমান। কিছু অংশে সত্যজিৎ তার সমালোচকদের নিয়ে যেভাবে সমালোচনা করেছেন এই বাংলায় আর কেউ কখনো এত সুন্দর, স্পষ্ট ও গুছিয়ে সমালোচনা উপস্থাপন করতে পারবে বলে মনে হয় না। আর আপনিও যদি এক সত্যজিৎ-প্রেমী হন তাহলে মনে রাখুন, রায় সাহেবের চলচ্চিত্র /শিল্প নিয়ে সচেতনতা,বিশ্লেষণ, দৃষ্টিভঙ্গী এবং দূরদর্শিতা এই প্রেমে নতুন মাত্রা যোগ করবে! বিষয় চলচ্চিত্র এর সত্যজিৎ যে কতটা বিস্তৃত এবং গভীর জ্ঞানসম্পন্ন তা প্রকাশের ভাষা আমার নেই। তা জানার জন্য এই বইয়ের দারস্থ হওয়াই শ্রেষ্ঠ পন্থা বলে আমি মনে করি।
ঢাউস সাইজের মোটা একখানা বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে পড়ে ফেললাম চলচ্চিত্র বিষয়ক আঠারোটি মিঠে গদ্যের এই সংকলনটি। চলচ্চিত্রের ভাষা, নির্বাক ও সবাক যুগের চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্রে আর্ট ও সাহিত্য ভাব, আবহসঙ্গীত ডিটেল ও সংলাপের সীমাবদ্ধতা এবং সোভিয়েত চলচ্চিত্রের প্রারম্ভ ও স্টালিন আমলের সিনেমা; আইজেনস্টাইন, পুদোভকিনের সিনেমার অভূতপূর্ব সব আলোচনা রয়েছে এই বইটিতে। তাছাড়া সত্যজিৎ রায়ের নিজের ছবির সমালোচনার জবাব, শুটিং অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে তুলে আনা কিছু চরিত্রের অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ডের কথা, ইন্দির ঠাকরুন ওরফে চুনিবালার মনোবলের কথা ও বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি ধাঁচের ফিল্ম করতে গিয়ে তাঁর (বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে যে কথোপকথন ও তাকে কিংবা বলা চলে তাঁর সৃষ্টিকর্ম প্রথম আবিষ্কারের কথা সত্যজিৎ রায় আমাদের শুনিয়েছেন একদম মিঠে ভাষায়। বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের সাথে কথোপকথনের সময় একটা জায়গায় চোখ আটকে যায়। [এখানে বলে রাখা ভালো(যারা জানেন না) বিনোদবিহারীর জন্ম থেকেই একটা চোখ নষ্ট, আরেকটা দিয়ে যা দেখতেন তাও ঝাপসা। চিত্রপটের এক বিগত দূরে চোখ রেখে ছবি দেখতে ও আঁকতে হত। কিছুদিন পর ওই একখানা চোখও নষ্ট হয়ে যায়। সত্যজিৎ রায় যখন কথা বলেন ওঁনার সাথে তখন ওনি সম্পুর্ণ দৃষ্টি রহিত] তা এখানে তুলে দিলাম— “ফিল্মে Blindness দেখানো হয়েছে ?” বিনোদদা জিগ্যেস করলেন । বললাম, “তা হয়েছে বই কি । বাংলা ছবিতেই হয়েছে । রবীন্দ্রনাথের ‘দৃষ্টিদান’ তো ছবি হয়েছে এককালে। ওদেশে আঁদ্রে জিদের উপন্যাস থেকে করা ‘La Symphonie Pastorale' ছবির কথা মনে আছে.” “কি রকম অন্ধ দেখায় ? ঠিক জিনিসটা দেখায় ?” “যেমন বোবা দেখায়, অন্ধও তেমনিই দেখায় আর কি। বেশ খানিকটা মোলায়েম করে দেখানো হয় । বিশেষ করে স্বয়ং নায়িকা যদি বোবা বা অন্ধ হন তাহলে তো কথাই নেই। বোবার ভাষা প্রকাশের ব্যর্থ চেষ্টা থেকে যে গোঙানির উদ্ভব হয়, সেটা কোনো ছবিতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না।” “তাহলে অন্ধের বেলাও হয়ত সহজ করে নেয়। আসলে ব্যাপারটা খুবই কম্প্লেক্স । এটা তো আগে জানা সম্ভব ছিল না । Space সম্পর্কে একটা নতুন চেতনা হয়। Space টা হয়ে যায় একটা ঘন বস্তু— যেটাকে হাত দিয়ে সরিয়ে সরিয়ে সামনে এগোতে হয় । যে জিনিসটা স্পর্শ করছি সেটা ছাড়া আর কোন কিছুর অস্তিত্বই থাকে না। তোমরা চেয়ার দেখলেই বুঝতে পারছ সেটা আছে, আমি চেয়ারে বসলে পরে তবে বুঝছি সেটা আছে । তাও তাতে হাতল আছে কিনা সেটা হাতলে হাত না ঠেকা পর্যন্ত বুঝছি না । তারপর হাতলটা কাঠের না বেতের, সরু না মোটা,পালিশ করা না এবড়োখেবড়ো, সেটা গোল হয়ে নেমেছে না রাইট অ্যাঙ্গলে নামছে, এসব হাত বুলিয়ে দেখে নিয়ে তবে বুঝতে হবে অপ্রত্যাশিত কিছু হাতে ঠেকলে চমকে উঠতে হয়। এই যে চেয়ারে বসে আছি, লাঠিটা আমার সামনে হাতলের উপর আড়ভাবে রাখা আছে—যদি লাঠিটার কথা ভুলে যাই, তাহলে সেটা হাতে ঠেকলেই শিউরে উঠি। এছাড়া আবার আরেকটা দিকও আছে। এই যে চায়ের গেলাসটা হাতে নিলুম—কাঁচ জিনিসটার স্পর্শগত অনুভূতি কোনোদিন আগে এভাবে Feel করিনি । এরকম সব বস্তু সম্পর্কেই একটা tactile feeling গড়ে ওঠে।”
It is an awesome book ....... It describes intricate details about Indian cinema, especially Bengali Cinema ..... It introduced me to the minute details of filmmaking ... and beautiful writing by one of the greatest directors...
This slim book misses the notice of many a film-lover whose sole exposure to Ray's writings on film takes place through "Our Films, Their Films". The articles contained in this book had been published in response to pressures applied by desperate editors, and in couple of cases, to retort a critic. We should remain obliged to those gentlemen, because Ray's refreshing take on film-making and some of his most poignant themes get discussed here thanks to those 'situations'. Highly Recommended.
"In my view, a critic performs a useful purpose only when he is able to build a bridge between the director and the audience. That is his main responsibility. A critic has to be a connoisseur since he makes a living out of making appraisals."
At the outset, Speaking of Films is an enlightening enumeration of the films and film-makers that shaped the growth of cinema. In this collection of lectures, Satyajit Ray describes the individual styles of early directors, factors in society that caused the the industry to lean towards a certain attitude and the development and subsequent conseqeuences of some cinematic trends. Most importantly, he lists his own views on the potential of cinema, the chief subject of his discourses being how little the world understands about filmmaking. He emphasizes persistently the distinction between films and every other creative pursuit- particularly literature, music and paintings, elements that tend to be incorrectly incorporated in cinema. As if opening up a smooth ,fine braid from its tail end, Ray shows us the magnitude of technique and intuition involved in mastering the distinct yet delicately interdependant elements of filmmaking- the use of sound, dialogue and colour. He illustrates this with a detailed description of some scenes from his own films. Throughout the book, one is guided by Ray's assertion of the existence of a special language unique to cinema, one like no other as it involves the use of multiple senses. The reader is shown that the skill of the film-maker lies in the ability to perceive the effect all these elements would together have on the viewer i.e if the combined outcome conveys the mood and meaning intended.
Satyajit Ray maintains his adherence to technique,reason and skill, along with a refreshingly keen sense of the intangible which appeals to the nature of man. For any movie-lover, this is a tool-kit that'll help him further appreciate films, get acquainted with the work of a genius and draw his own insights on not just filmmaking, but the various concepts involved in any mode of creative expression.
সত্যজিৎ রায় নামটা শুনলে প্রথমে আসে ফেলুদা এর কথা। সবাই মোটামুটি ফেলুদা কে নিয়েই সত্যজিৎ ভেবে থাকেন। কিন্তু তিনি শুধু ফেলুদা নন। তিনি হচ্ছে “পথের পাচালী”, “অপরাজিত” এবং “অপুর সংসার”। যারা সিনেমা ভালবাসেন তারা এক বাক্যে স্বীকার করবেন। বাংলার যে চিত্র সত্যজিৎ ফুটিয়ে তুলেছেন যেভাবে তিনি তারা ক্যামেরা চোখ ঘুরিয়েছেন সেটা তখনকার দিনে সেভাবে কেউ করতে পারেনি। আমরা মনে হয় এখনও কেউ পারবে না। . “বিষয় চলচ্চিত্র” বইটা পড়লাম। বইটি সত্যজিৎ রায়ের লেখা অনেক গুলো সম্পাদকীয় ও ছোট ছোট লেখার সংস্কার। এখানে তিনি নিজের সিনেমা বানানোর প্রতি এবং কিভাবে সিনেমা তৈরি হয়ে এসেছে সেটার একটি ধারণা দিয়েছেন। বলা যায় যে তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন এভাবে সিনেমা বানানো উচিত। সেই নির্বাক যুগের সিনেমা থেকে সবাক যুগে যে পরিবর্তন সেটাও তিনি তুলে ধরেছেন। . এখন আসা যাক “পথের পাচালী” নিয়ে কথা বার্তা। . বইতে কিছুটা ধারণা দেয়া হয়েছে। কিভাবে পথের পাচালীর শট নেয়া হয়েছে। কখন ক্যামেরা প্যান করে। আর স্থির চিত্র হিসেবে ফ্রেম করে। বলা যায় প্রতিট শটের ক্ষেত্রে খুব সুক্ষ্ম ভাবে দেখা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা প্রথম শটের কথা ধরি, মেঘলা দিন মেঠো রাস্তা। অপু কেরোসিনের খালি বোতল হাতে দূরে চলে যায়। এখানে তিনি লং শট নিয়েছেন। এর সাথে কিছুটা আবহ সঙ্গীত যুক্ত করেছেন এর ভাব বোঝানোর জন্য। এখানে লক্ষনীয় বিষয়টি দেখা যাক। এখানে ক্লোজ শট নিলে কিন্তু কোন কিছু সেভাবে ফুটিয়ে তোলা যেতো না। আসে পাশের পরিবেশের একটা প্রভাব যে রয়েছে সেটাকে তুলে ধরা হয়েছে। . এবার অন্য একটি শটের কথা বলি সেটাও মেঘলা দিন। হরিহর মানে দুর্গা অপুর বাবা জানতে পারেন দুর্গা মারা গিয়েছে। সেখানে সর্বজয়া কাদতে কাদতে মেঝে শুয়ে পরে। এখানে ক্লোজ শটে ক্যামের ট্রাক করে সামনে নেয়া হয়। হরিহর অবাক হয়ে যায় উঠে দাড়াতে গিয়েও আবার পরে যায়। সেখান থেকে ক্যামেরা আবার আগের জায়গাতে চলে আসে। তো এখানে ক্যামেরা ট্রাক করা কেন হলো। সর্বজয়ার আবেগ এবং হরিহর যে নিজের মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে পারেনি তার মুখের অভিব্যক্তিকে তুলে ধরার জন্য। এখানে লং শটে সেটা বোঝান সম্ভব হতো না। . এবার আসা যাক চরিত্রের নির্বাচনে। সত্যজিৎ রায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যাদের নিয়েছেন তারা কেউ সে সময় সিনেমাতে অভিনয় করেনি। আবার বলা যায় সেভাবে তারা অভিনেতা বা অনিনেত্রী নন। এক চুনীবালার কথাই ধরা যাক। তাকে দিয়ে যে অভিনয় করান হয়েছে সেটা তিনি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সেভাবে কতটা কেউ পারত তা আমার জানা নেই। হয়ত এরচেয়ে ভাল হতেও পারত। আবার নাও হতে পারত। তিনি প্রফেশনাল শিল্পী না হয়েও যেভাবে কাজ করেছেন সেটা সত্যজিৎ রায় নিজেও অবাক হয়েছেন। পচাত্তর বছরের এই বৃদ্ধাকে দিয়ে তিনি গান গাইয়েছেন। ভাবা যায় এটা। . ছোট একটি ঘটনা উল্লেখ করা যায়, শেষ দৃশ্যে যখন তাকে বলা হয় আজ আপনাকে খাটে তোলা হবে। তিনি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন এই সৌভাগ্য কয়জনের হয়। শট নেয়া শেষ হবার পরও তিনি ওঠেনি। তারপর তাকে যখন ওঠানো হলো তিনি বললেন যে আমাকে কেউ বলেনি যে শট শেষ হয়েছে। তিনি মরা হয়েই পরে ছিলেন। এখানে আর একটি ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়। সেটা হচ্ছে অপরাজিত ছবিতে কাশীবাসীর চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন। তিনি তার আগে কখনও নই সিনেমায় অভিনয় করেননি। কিন্তু তার অভিনয়ে এটার ছাপ একদম পরেনি। বরং তার অভিনয়ের গুণ দেখে সত্যজিৎ অনেক মুগ্ধ হয়েছেন। . এবার চিত্রনাট্য নিয়ে কথা বলা যাক, “পথের পাচালী” নাম শোনার সাথে সাথে মনে হয় অপু দুর্গার সেই দুরন্ত কৈশর। তাদের দূরন্তপনা দেখতেই যেন বার বার ছবিটি দেখতে হয়। তবে ছবিটির সেভাবে কোন চিত্রনাট্য ছিল না। সত্যজিৎ রায় নিজের কল্পনা থেকে কিছু নোট করেন এবং চিত্রপট আকেন সেগুলোকেই পরে সাজিয়ে তৈরি হয় পথের পাচালী। অনেকেই এটাতে দ্বিমত পোষণ করে থাকেন। তবে এটি আসলে উপেক্ষা করার বিষয় নেই। কারণ তার অনেক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি লন্ডন যাবার পথে এই চিত্রনাট্য এভাবেই তৈরি করেন। সমস্যা হচ্ছে এভাবে হয়ত সংলাপের জন্য কোন কোন জায়গাতে তার থামতে হয়ছে। কিন্তু ছবিতে সেটা প্রভাব পরেনি। তিনি নিজ জায়গা থেকে একটু সরে দাড়ননি। চিত্রনাট্য নিয়ে তিনি বার বার ভেবেছেন। কোথায় কতটুকু আলো দরকার। কোথায় কিভাবে শট নেয়া হবে। কতটুকু শট নেয়া হবে সেটা তার চিত্রনাট্যতে স্পষ্ট ছিল। তাই সেভাবে চিত্রনাট্যের দরকার পরেনি। . তবে তিনি কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলেন এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। এখানে উল্লেখ করা যায়, উপন্যাসের শুরুর দিকেই গ্রামের মন্দিরে সকলের সামনেই ইন্দির ঠাকরুণের মৃত্যু ঘটে, কিন্তু চলচ্চিত্রে অপু ও দুর্গা তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। চলচ্চিত্রের অপু ও দুর্গার ট্রেন দেখার জন্য দৌড়নোর দৃশ্যটিও উপন্যাসে নেই। বর্ষায় ভিজে প্রচণ্ড জ্বর বাঁধিয়ে দুর্গার মৃত্যু ঘটে বলে চলচ্চিত্রে দেখানো হলেও উপন্যাসে মৃত্যুর কারণ অজানাই রাখা হয়েছে। হরিহর রায়ের পরিবারের গ্রাম ত্যাগ দিয়ে চলচ্চিত্র শেষ হলেও উপন্যাস সেই ভাবে শেষ হয়নি অপর দিকে দৃশ্যায়নের ক্ষেত্রে তিনি অনেক গবেষণা করেছিলেন। তিনি যখন গ্রামে শুট করতে গেলেন। অনেকেই ভেবে ছিলেন তিনি ফিরে আসবেন। অথচ ত��নি ছবি পুরোটা সম্পন্ন করেছেন। কিছু কাজ মানে রাতের দৃশ্য গুলো তিনি স্টুডিওতে করেছেন। এখানে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে যিনি ক্যামেরা ম্যান হিসেবে ছিলেন তিনি প্রথম বারের মত ক্যামেরার পিছনে ছিলেন। সুব্রত মিত্র। মিত্র ল্য ফ্লোভ চলচ্চিত্রের সেটে সত্যজিৎ রায়ের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন, সেখানে মিত্র চলচ্চিত্র নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ, ছবি তোলা ও নিজের কাজের জন্য আলোক সম্পাতের উপর নোট করার ���নুমতি পেয়েছিলেন। রায়ের সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর মিত্র তাকে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ সম্পর্কে জানাতেন এবং তার ছবিগুলি দেখাতেন। রয় এই কাজে মুগ্ধ হয়ে তাকে পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, এবং যখন তিনি এই চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেন, তখন তাকে এই চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ২১ বছর বয়সী মিত্রের চলচ্চিত্র নির্মাণের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না, ফলে যারা চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলের তারা এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সংশয় পোষণ করেছিল। মিত্র নিজে ধারণা করেছিলেন সত্যজিৎ রায় প্রতিষ্ঠিত কলাকুশলীদের নিয়ে কাজ করতে বিচলিত ছিলেন। . পথের পাচালী এক দিনেই তৈরি হয়নি। ছবিটি অর্থাভাবে মাঝ পথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি বিজয়া রায় এর গয়না পর্যন্ত বন্দক রাখতে হয়েছে। তিনি অনেকের কাছেই টাকা চেয়ে বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে ধার করেছেন। শেষ পর্যন্ত টাকা দিলেন ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়। এরপর ১৪দিন শুটিং শেষে ছবিটি শেষ করা হয়। এভাবেই তৈরি হয় কালজয়ী “পথের পাচালী”।
"আমাদের একজন সত্যজিৎ রায় ছিলেন"... প্রতিবার রায় বাবুর বই পড়ে আমার একথাই মনে হয়। এই লোকটার জ্ঞান আর জানাশোনার স্তর দেখে আশ্চর্য হতে হয় বৈকি। না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। "বিষয় চলচ্চিত্র" পড়ার পরে আমার আবারও একইরকম উপলব্ধি হলো। সিনেমার বিষয়বস্তু খুঁটিনাটি, নির্বাক যুগের সবাক যুগের চলচিত্র ও চলচ্চিত্রকরদের সম্পর্কে নানা তথ্য(আজেনস্টাইন,আলফ্রেড হিচকক,গ্রিফত,জাঁ রেনোয়া,ত্রুফো,পুদোভকিন,কুলেশভ কে নেই এতে!)প্রথম সিনেমার উদ্ভব ও উৎপত্তি। হলিউড বলিউড ও বাংলা চলচ্চিত্রের খুঁটিনাটি । সোভিয়েত চলচ্চিত্র ও বিশ্ব খ্যাত চলচ্চিত্রের নাম। বইয়ের প্রথম ভাগে চলচ্চিত্রের ইতিহাস এরপরের অর্ধেক আরো ইন্টারেস্টিং, এই অংশে পরিচিত হই রায় বাবুর ক্রিয়েটিভিটি,চরিত্র নির্বাচন, সম্পূর্ণ আনকোরা মানুষ দিয়ে চলচ্চিত্রের কাজ করানোর অভিজ্ঞতার সাথে। পথের পাঁচালির ইন্দির ঠাকুরন এর বিবরণ, সুটিং সেটের গল্প।চলচিত্রের ডিটেল এবং সংলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। এবং আরো ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো একটা চিত্রনাট্য কিভাবে লেখা হয় সেটি। একটা ছবি পরিচলনা করতে একটা ছবিকে শিল্প বা আর্টের পর্যায়ে নিয়ে যেতে একজন পরিচালককে কত দিকে লক্ষ রাখতে হয় তা ভেবে আশ্চর্য হয়ে গেছি। বিশেষ করে, লং শট,মিড শট,মন্টাজ,ফ্রিজ,একটা শটের সাথে আরেকটা শট জুড়ে কিভাবে একটা লম্বা গল্প বলা হয় একটা চলচ্চিত্রে। একটা ঘটনার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে মিড শট লং শট এর পাশাপাশি কিভাবে ক্লোজআপে এনে মুখের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে হয় তার নিখুঁত বর্ণনা আছে বইয়ে। এরপর আছে চারুবালা মুভির পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ। যেটা সমালোচকদের সমালোচনার জবাব।এই উপমহাদেশে তো শুধু উচু মানের ছবি বানালেই আর চলে না তাকে বোঝানোর জন্যও শিল্পীকে কলম ধরতে হয়।আর সেইসব অ-সমালোচক(!)দে��� বোঝানোর জন্যই সৃষ্টি হয় "বিষয় চলচ্চিত্র" নামক বইয়ের। ধন্য রায়বাবু, ধন্য তার ধী!
বইটা মাত্র ১২৯ পাতার। তবে শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় ৪ সপ্তাহ। ব্যাপারটাকে দুইভাবে ব্যাখা করা যায়, হয় খুব বিরক্তিকর অথবা অখন্ড মনোযোগ দিয়ে পড়া হয়েছে। আমার মনে হয় দুই নম্বরটা আমার জন্য খাটে। বইটার সাজেশন পেয়েছিলাম আরো প্রায় বছরখানেক। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া প্রহেলিকা দেখে মনে হলো হস্তগত আর মস্তকগত করার এই সময়।
সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা ১৮ টা প্রবন্ধের সংগ্রহ বিষয় চলচ্চিত্র। এর মধ্যে দুটো লেখা তার পরিচালিত চলচ্চিত্র অপুর সংসার আর চারুলতার সমালোচনার জবাব। তিনটাতে শুটিং এর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। একটায় আত্মবিশ্লেষণ। বাকিগুলোতে চলচ্চিত্রের ভাষা কেন মূলত ছবি নির্ভর, চলচ্চিত্রের আবহ সঙ্গীতের কেমন হওয়া উচিত, রঙ চলচ্চিত্রে কতটা পরিবর্তন এনেছে, সংলাপের পরিমিতি, বাংলা চলচ্চিত্রের শিল্পের দিক এমন বিবিধ প্রসঙ্গ নিয়ে।
অল্প কলেবরে সিনেমার ব্যাকরণ জানার জন্য বইটা অনন্য।শট, কাট, শিল্পনির্দেশনা, কিভাবে চিত্রনাট্য দাঁড়ায় তার টেকনিক্যাল পার্টগুলো প্রাথমিক জানার ইচ্ছা মেটাবে আগ্রহীদের।
Starting with a simplistic analogy of film-making with scientific methodology, this eminent director has engrossed the reader with in-depth analyses of scenes from his selected works to show his perspectives and credibility in the face of hurdles from various spheres and added to his works''s source of inspiration with historical anecdotes so that the reader can connect to his film-making vision. The humour added to the liveliness of his descriptions also gives a vivid example of the stalwart, Satyajit Ray's life experiences in a subtle manner.
জনপ্রিয় উপন্যাস / ছোটগল্পের চলচ্চিত্রায়নে সত্যজিৎ রায়ের ছিল বিস্তর পদচারণা। বাংলা চলচ্চিত্র আর সাহিত্যের মেলবন্ধনের এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত তার মুভি গুলো। সাহিত্য থেকে চলচ্চিত্র বানালে অনেক ক্ষেত্রে সাহিত্যিক ভঙ্গিমা হারিয়ে যায়। আমরা সব সময়ই জানি বই টা সিনেমাটার চেয়ে অনেক ভালো কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের ভার্সনটা মূল সাহিত্যের বিকৃতি ঘটায় না বরং আরো হাইলাইট করে।
এক কথায় অসাধারণ। একজন মাস্টার ফিল্মমেকারের সিনেমা নিয়ে যে কত গভীর জ্ঞান এ সূক্ষ অনুভূতি রয়েছে তা এই বইয়ের প্রবন্ধ পড়লেই বোঝা যায়। যারা সিনেমা নিয়ে একটু পড়ালেখা করতে চান, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা নিয়ে চিন্তা জানতে চান এটা তাদের জন্য একরকম মাস্ট রিড।
A wonderful collection of writings by a genius, which truly give insights into his thinking and his character. Further, the translator has done a very good job in translating his Bengali writings. A book worth buying if you are a Satyajit Ray fan.
আমি খুব একটা সিনেমার পোকা নই, তবু বলতে বাধ্য হচ্ছি– চলচ্চিত্র, সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র ভাল লাগলে অবশ্যপাঠ্য। বেশ ছোটবেলায় পড়েছিলাম, চলচ্চিত্র নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি খানিকটা হলেও পাল্টে গেছিল।
আমার মতো চলচ্চিত্রের (বিশেষত বিশ্ব চলচ্চিত্রের) অত্যল্প জ্ঞান নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা-বিষয়ক কোনো লেখা প্রসঙ্গে কলম ধরাকে ধৃষ্টতা বললে কিছুই বলা হয়না। তাই অনর্থক বিশ্লেষণধর্মী না ভেবে এই লেখাটাকে এক মুগ্ধ পাঠকের স্বগত স্বীকারোক্তি ভাবলে বাধিত হই।
চলচ্চিত্র নির্মাণের উপর সত্যজিৎ রায় দীর্ঘ চার দশক যা লেখালেখি করেছেন তার একটা বিরাট অংশই মাতৃভাষা বাংলায়। সেই বাংলা প্রবন্ধগুলির সংকলন – ‘বিষয় চলচ্চিত্র’। ইতিপূর্বে লেখকের সমধর্মী ইংরেজি প্রবন্ধ সংকলন ‘Deep Focus’ পড়েছি। বই দুটি বস্তুত একে অপরের পরিপূরক। দুটিতে মিলে চলচ্চিত্র নামক শিল্পমাধ্যম সম্বন্ধে সত্যজিৎ রায়ের পান্ডিত্য, বোধ ও দর্শনকে বুঝতে সাহায্য করে। দুটি সংকলনের প্রবন্ধগুলির আঙ্গিক ও লেখনশৈলীর সুস্পষ্ট পার্থক্য টার্গেট অডিয়েন্স অনুযায়ী উপযুক্ত মোড়কে নিজেকে উপস্থাপনের কৌশল সত্যজিৎ কি নিপুণভাবে আয়ত্ত করেছিলেন তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
‘বিষয় চলচ্চিত্র’ এর সূচনা নির্বাক চলচ্চিত্রের ইতিহাস দিয়ে। সেখান থেকে সবাক চলচ্চিত্রে উত্তরণের কাহিনী, দুটির তুলনামূলক বিশ্লেষণ, পারস্পরিক স্বাতন্ত্র্য তথা এই দুই মাধ্যমে ওয়েস্টার্ন সিনেমার সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে সবিস্তার আলোচনায় বইটার প্রথমভাগ ঋদ্ধ। খুব গভীরে গিয়ে লেখক ব্যাখ্যা করেছেন তদানীন্তন রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সোভিয়েত সিনেমার উত্থান-পতনকে, জার্মান ও পূর্ব ইউরোপীয় সিনেমা সম্বন্ধে নিজের মুগ্ধতাকেও।
বইটার দ্বিতীয়ার্ধ শুরু প্রাক-সত্যজিৎ বাংলা সিনেমা সম্বন্ধে গভীর হতাশা নিয়ে। বাকি পরিসরটুকু জুড়ে আছে লেখকের নিজের চলচ্চিত্র সাধনার ইতিবৃত্ত, নানা অভিজ্ঞতার বর্ণনা, বিশদে চলচ্চিত্র-সম্পাদনা, ক্যামেরার ব্যবহার, আলোক ও রঙের ব্যবহার নিয়ে নিজস্ব মতামত এবং তাঁর চলচ্চিত্র সম্বন্ধে প্রচলিত সমালোচনার অকপট প্রত্যুত্তরও।
যাঁরা চলচ্চিত্র ভালোবাসেন বা আমার মতো সত্যজিৎ রায়ের গুণগ্রাহী বা উভয়ই, আনন্দ পাবলিশার্সের এই নাতিদীর্ঘ সংকলন তাঁদের অবশ্যপাঠ্য।
An awesome and inspiring book containing some detailed essays by the filmmaker himself on 'history of cinema', 'russian cinema', cinema theories and practicalities, literature, writing and music for films, insights on his own film-making experiences and problems concerning indian cinema, which still rings true for today! The only things i found surprisingly missing were any mentions of Kubrick's films and of the indian avant-garde film artist Pramod Pati... PS: An appeal to Penguin India to please re-design the atrocious cover and if possible fire the concerned designer Pinaki De for his/her use of the most appalling choice of fonts, image compositing and colour scheme which makes the book look like a cheap, boring - 'ashram' commissioned - religious propaganda book! Mr. Ray would've definitely not approved!
Having grown up on diet of Feluda and other short stories by Ray, he was always a favorite author. Lately, as I started watching his cinema, I realized I needed to understand his own view points as a filmmaker before I tried to understand his movies.
His writing, of course, is simple as always. What I liked more about the book is how he explains the intricacies of cinema in such a way that someone who has no knowledge of the craft on the inside, would get a glimpse into how much work goes into making a movie. A lovely read!
চলচ্চিত্রের ছাত্র আমি নই। একনিষ্ঠ দর্শক বলেও দাবি করবার মত দুঃসাহস দেখাতে পারিনা। ভালবাসা সিনেমা দেখতে। এ কথা অনস্বীকার্য। কিন্তু যখন সত্যজিৎ রায় লিখতে বসেন তাঁর সিনেমা ভাবনা-র কথা, তখন আমাদের মত সাধারণ পাঠকদের মন্ত্রমুগ্ধের মত গোগ্রাসে গিলে যাওয়া ছাড়া কিছু করবার থাকে না। এই বইটা আমার এই প্রথম বার পড়া নয়, শেষ বার-ও যে নয়, সে কথাও জোর দিয়েই বলতে পারি। যত বার পড়ি, তত বার কিছু নতুন শেখা আর নতুন করে সিনেমা বুঝতে শেখা।
যারা চলচ্চিত্র কিভাবে বানানো হয় বা একটা ফিল্মের রসাস্বাদন কিভাবে করা উচিৎ সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য শুরুর বই হিসেবে বেশ ভাল। সত্যজিতের লেখনি নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই, বইটি চলচ্চিত্র বিষয়ক সত্যজিতের লেখা প্রবন্ধগুলো নিয়ে একটি সংকলন। বইটিতে সিনেমার ইতিহাস থেকে শুরু করে কিভাবে সিনেমা বানানো হয় / কীভাবে বানানো উচিত / সিনেমা বানানোর পেছনের কাহিনীগুলো জানা যায়। বেশ ইন্টারেস্টিং। প্রচুর ক্লাসিক সিনেমার রেফারেন্স পাওয়া যায় বইটিতে যেটা ফিল্ম টেস্ট ডেভেলপ করতে সহায়ক হবে।
A revelation by the genius filmmaker about the difference between book writing and script writing with spurts of acute observation and analysis. An auteur par excellence reveals behind the camera secrets and stories of his movies and what goes into filmmaking.
If you like films, want to know about films and want to participate in conversations regarding films you aren't complete if you haven't read this book. And, needs a mention, brilliantly translated from Bengali to English by Gopa Majumder. A collectible!