কলাম্বিডি
কবুতর ও ঘুঘু সময়গত পরিসীমা: আদি মিওসিন – বর্তমান | |
---|---|
জালালি কবুতর (Columba livia) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
উপপর্ব: | মেরুদণ্ডী |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Columbiformes |
পরিবার: | Columbidae Illiger, ১৮১১ |
উপশ্রেণী | |
| |
কলাম্বিডি গোত্রের বৈশ্বিক বিস্তৃতি |
কবুতর ও ঘুঘু এই দুই রকম পাখি কলাম্বিডি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এ গোত্রে প্রায় ৩১০টি প্রজাতির সংস্থান হয়েছে। এদের প্রত্যেকের দেহ শক্তপোক্ত, ঘাড় খাটো এবং ঠোঁটের গোড়ায় মাংসল উপাঙ্গ (ইংরেজিতে সেরেল) রয়েছে। শস্য, বীজ, ফল ও অন্যান্য উদ্ভিদাংশ এদের মূল খাদ্য। সারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এরা মোটামুটি বিস্তৃত হলেও ইন্দোমালয় ও অস্ট্রেলীয় প্রতিবেশগত অঞ্চলে এদের বৈচিত্র্য ও সংখ্যা সর্বাধিক। শ্বেত পায়রা শান্তির প্রতীক।
ঘুঘু ও কবুতরের মধ্যে প্রকৃতিগতভাবে কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই। পক্ষীবিজ্ঞানীরা ছোটখাটো প্রজাতি বোঝাতে "ঘুঘু" ও অপেক্ষাকৃত বড় প্রজাতি বোঝাতে "কবুতর" ব্যবহার করেন। তবে এ ব্যাপারে ঐতিহ্যগত ও ঐতিহাসিকভাবে কোনো ধরাবাধা নিয়ম মেনে চলা হয় না। সাধারণভাবে ঘুঘু বলতে তিলা ঘুঘু আর কবুতর বলতে জালালি কবুতর নয়তো গৃহপালিত কবুতরকে বোঝায়।
কবুতর ও ঘুঘু প্রজাতিভেদে বৃক্ষে, ঝোপঝাড়ে কিংবা মাটিতে শুকনো লতাপাতা, খড় বা অন্যান্য আবর্জনা দিয়ে আগোছালো বাসা বানায়। বাসায় এক থেকে দুইটি ডিম পাড়ে। বাবা মা দু'জনেই তা দেয় ও ছানাদের লালনপালন করে। ডিম ফোটার ৭ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ছানারা বাসা ছেড়ে চলে যায়।[১] কবুতর ও ঘুঘুর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এরা মাতৃদুগ্ধ উৎপাদন করতে সক্ষম এবং মা ও বাবা উভয়েই সন্তানকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ খাওয়ায়। এই মাতৃদুগ্ধ কবুতর ও ঘুঘুর ক্রপে সৃষ্টি হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Crome, Francis H.J. (১৯৯১)। Forshaw, Joseph, সম্পাদক। Encyclopaedia of Animals: Birds। London: Merehurst Press। পৃষ্ঠা 115–116। আইএসবিএন 1-85391-186-0।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Columbidae.org.uk কবুতর ও ঘুঘুর সংরক্ষণ
- ভিডিও[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], the Internet Bird Collection
- ঘুঘুর ডাক