এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Wikitanvir (আলোচনা | অবদান) + |
Wikitanvir (আলোচনা | অবদান) fix |
||
১৮ নং লাইন: | ১৮ নং লাইন: | ||
}}|} |
}}|} |
||
'''লকহিড এসআর-৭১''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি ভাষায়]]: Lockheed SR-71) হচ্ছে একটি উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন, দূর পাল্লার, [[ম্যাক নম্বর|ম্যাক]] ৩ মাত্রার কৌশলগত গোয়েন্দা বিমান। এটি তৈরি করা হয়েছে লকহিড [[লকহিড এ-১২|এ-১২]] ও [[লকহিড ওয়াইএফ-১২|ওয়াইএফ-১২]] সংস্করণদুটির উন্নয়নের মাধ্যমে। বিমানটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান [[লকহিড]] [[শ্রাঙ্ক ওয়ার্কস]] এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর [[কালো প্রকল্প|কালো প্রকল্পের]] আওতায়। দূর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিমানটির নামকরণ করা হয় '''ব্ল্যাকবার্ড''', এবং এর আরোহীদের কাছে এটি '''হাবু''' নামে পরিচিত। [[হাবু]] হচ্ছে ওকিনাওয়ান প্রজাতির [[পিট ভাইপার]] গোত্রীয় একটি সাপের নাম।<ref name="Crickmore p64"> Crickmore 1997, p. 64.</ref> এই বিমানটির বিভিন্নরকম নকশা প্রণয়নের দায়িত্বে ছিলেন [[ক্লেয়ারেন্স জনসন]]। এই বিমানটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য উচ্চগতি ও নিয়ন্ত্রণ কৌশল, এবং এজন্য ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য কোনো মিসাইল এই বিমানের দিকে ধাবিত হলে স্ট্যান্ডার্ড ইভেশন অ্যাকশনের দ্বারা তাৎক্ষণিকভাবে এর গতিবৃদ্ধি ঘটে এবং মিসাইলের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মোট ৩৪ বছর এই বিমান কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। প্রকল্পের আওতায় মোট ৩২টি বিমান নির্মিত হলেও বিভিন্ন দূর্ঘটনায় মোট ১২টি বিমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কিন্তু কোনোটিই শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় নি। [[১৯৭৬]] থেকে আকাশে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সক্ষম বিমানগুলোর মাছে এটিই সবচেয়ে দ্রুতগামী বিমান।<ref name="Landis_p100-1">Landis and Jenkins 2005, pp. 100–101.</ref><ref name="Pace_p126-7">Pace 2004, pp. 126–127.</ref> |
'''লকহিড এসআর-৭১''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি ভাষায়]]: Lockheed SR-71) হচ্ছে একটি উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন, দূর পাল্লার, [[ম্যাক নম্বর|ম্যাক]] ৩ মাত্রার কৌশলগত গোয়েন্দা বিমান। এটি তৈরি করা হয়েছে লকহিড [[লকহিড এ-১২|এ-১২]] ও [[লকহিড ওয়াইএফ-১২|ওয়াইএফ-১২]] সংস্করণদুটির উন্নয়নের মাধ্যমে। বিমানটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান [[লকহিড]] [[শ্রাঙ্ক ওয়ার্কস]] এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর [[কালো প্রকল্প|কালো প্রকল্পের]] আওতায়। দূর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিমানটির নামকরণ করা হয় '''ব্ল্যাকবার্ড''', এবং এর আরোহীদের কাছে এটি '''হাবু''' নামে পরিচিত। [[হাবু]] হচ্ছে ওকিনাওয়ান প্রজাতির [[পিট ভাইপার]] গোত্রীয় একটি সাপের নাম।<ref name="Crickmore p64"> Crickmore 1997, p. 64.</ref> এই বিমানটির বিভিন্নরকম নকশা প্রণয়নের দায়িত্বে ছিলেন [[ক্লেয়ারেন্স জনসন]]। এই বিমানটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য উচ্চগতি ও নিয়ন্ত্রণ কৌশল, এবং এজন্য ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য কোনো মিসাইল এই বিমানের দিকে ধাবিত হলে স্ট্যান্ডার্ড ইভেশন অ্যাকশনের দ্বারা তাৎক্ষণিকভাবে এর গতিবৃদ্ধি ঘটে এবং মিসাইলের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মোট ৩৪ বছর এই বিমান কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। প্রকল্পের আওতায় মোট ৩২টি বিমান নির্মিত হলেও বিভিন্ন দূর্ঘটনায় মোট ১২টি বিমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কিন্তু কোনোটিই শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় নি। [[১৯৭৬]] থেকে আকাশে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সক্ষম বিমানগুলোর মাছে এটিই সবচেয়ে দ্রুতগামী বিমান।<ref name="Landis_p100-1">Landis and Jenkins 2005, pp. 100–101.</ref><ref name="Pace_p126-7">Pace 2004, pp. 126–127.</ref> পূর্বে এই রেকর্ডটি ছিলো লকহিডের পূর্ববর্তী সংস্করণ ওয়াইএফ-১২-এর। |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৬:৩৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এআর-৭১ ‘ব্ল্যাকবার্ড’ | |
---|---|
১৯৯৪ সালে, ক্যালিফোর্নিয়ার সিয়েরা নেভাদার ওপরে উড্ডয়ন প্রশিক্ষণকালীন একজন এসআর-৭১বি ট্রেইনার। প্রশিক্ষণদাতা দ্বিতীয় ককপিটে উপবিষ্ট। | |
ভূমিকা | কৌশলগত গোয়েন্দাবিমান |
নির্মাতা | লকহিড স্কাঙ্ক ওয়ার্কস |
নকশা প্রণেতা | ক্লেয়ারেন্স ‘কেলি’ জনসন |
প্রথম উড্ডয়ন | ২২ ডিসেম্বর, ১৯৬৪ |
প্রবর্তন | ১৯৬৬ |
অবসর | ১৯৯৮ |
মুখ্য ব্যবহারকারী | ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স নাসা |
নির্মিত সংখ্যা | ৩২ |
যা হতে উদ্ভূত | লকহিড এ-১২ |
লকহিড এসআর-৭১ (ইংরেজি ভাষায়: Lockheed SR-71) হচ্ছে একটি উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন, দূর পাল্লার, ম্যাক ৩ মাত্রার কৌশলগত গোয়েন্দা বিমান। এটি তৈরি করা হয়েছে লকহিড এ-১২ ও ওয়াইএফ-১২ সংস্করণদুটির উন্নয়নের মাধ্যমে। বিমানটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান লকহিড শ্রাঙ্ক ওয়ার্কস এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কালো প্রকল্পের আওতায়। দূর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিমানটির নামকরণ করা হয় ব্ল্যাকবার্ড, এবং এর আরোহীদের কাছে এটি হাবু নামে পরিচিত। হাবু হচ্ছে ওকিনাওয়ান প্রজাতির পিট ভাইপার গোত্রীয় একটি সাপের নাম।[১] এই বিমানটির বিভিন্নরকম নকশা প্রণয়নের দায়িত্বে ছিলেন ক্লেয়ারেন্স জনসন। এই বিমানটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য উচ্চগতি ও নিয়ন্ত্রণ কৌশল, এবং এজন্য ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য কোনো মিসাইল এই বিমানের দিকে ধাবিত হলে স্ট্যান্ডার্ড ইভেশন অ্যাকশনের দ্বারা তাৎক্ষণিকভাবে এর গতিবৃদ্ধি ঘটে এবং মিসাইলের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মোট ৩৪ বছর এই বিমান কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। প্রকল্পের আওতায় মোট ৩২টি বিমান নির্মিত হলেও বিভিন্ন দূর্ঘটনায় মোট ১২টি বিমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কিন্তু কোনোটিই শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় নি। ১৯৭৬ থেকে আকাশে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সক্ষম বিমানগুলোর মাছে এটিই সবচেয়ে দ্রুতগামী বিমান।[২][৩] পূর্বে এই রেকর্ডটি ছিলো লকহিডের পূর্ববর্তী সংস্করণ ওয়াইএফ-১২-এর।