ট্রেভর হাওয়ার্ড

ইংরাজি চলচ্চিত্র, নাটক এবং দূরদর্শন অভিনেতা (1913–1988)

ট্রেভর ওয়ালেস হাওয়ার্ড-স্মিথ (ইংরেজি: Trevor Wallace Howard-Smith; ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯১৩ - ৭ জানুয়ারি, ১৯৮৮) ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা।[] মঞ্চে কর্মজীবন শুরুর পর তিনি ব্রিফ এনকাউন্টার (১৯৪৫) ও দ্য থার্ড ম্যান (১৯৪৯) চলচ্চিত্র দিয়ে তারকা খ্যাতি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে দ্য কি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার লাভ করেন।

ট্রেভর হাওয়ার্ড
Trevor Howard
১৯৭৩ সালে হাওয়ার্ড
জন্ম
ট্রেভর ওয়ালেস হাওয়ার্ড-স্মিথ

(১৯১৩-০৯-২৯)২৯ সেপ্টেম্বর ১৯১৩
মৃত্যু৭ জানুয়ারি ১৯৮৮(1988-01-07) (বয়স ৭৪)
মৃত্যুর কারণহেপাটিক ফেইলারসির্হোসিস
সমাধিসেন্ট পিটার্স চার্চ, আর্কলি
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯৩৪–১৯৮৮
দাম্পত্য সঙ্গীহেলেন চেরি (বি. ১৯৪৪)

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

হাওয়ার্ড ১৯১৩ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর কেন্টের ক্লিফটনভিলে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা মেবল গ্রে ওয়ালেস এবং পিতা আর্থার জন হাওয়ার্ড।[] তার পিতা লন্ডনের লয়েডসে বীমা লেখক ছিলেন। ফলে ট্রেভর তার প্রথম আট বছর তিনি বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ করেন।[][] তিনি ক্লিফটন কলেজে পড়াশুনা করেন এবং সেখান থেকে নাটকে বৃত্তি নিয়ে রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে (রাডা) ভর্তি হন।[] ১৯৩৩ সালে প্রথম বর্ষ শেষে রাডার মাচ অডো অ্যাবাউট নাথিং নাটকে বেনেডিক্ট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাকে তার শ্রেণীর সেরা অভিনেতা হিসেবে নির্বাচন করা হয়। রাডায় পড়াকালীন তিনি গেট থিয়েটারের রিভল্ট ইন আ রিফর্ম্যাটরি (১৯৩৪) নাটক দিয়ে পেশাদারী কর্মজীবন শুরু করেন।

পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর তিনি নিয়মিত মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। তিনি স্ট্রাটফোর্ড আপন অ্যাভনে শেরিডানের দ্য রাইভাল্‌স-এর কয়েকটি শোতে অভিনয় করেন এবং দুই বছর ধরে চলা ফ্রেঞ্চ উইদাউট টিয়ার্স নাটকের মূল মঞ্চায়নে অভিনয় করেন।[][]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

সম্পাদনা

যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর রয়্যাল কর্পস অব সিগন্যালে তার সাহসী কাজের গল্প ছড়িয়ে পড়লে তিনি তার সমসাময়িক অভিনয়শিল্পী ও ভক্তকুলের কাছে সম্মানিত হন, পাবলিক রেকর্ড অফিসের নথিতে প্রকাশিত হয় যে তাকে মানসিক চাঞ্চল্যের কারণে এবং "মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিত্বের জন্য" তাকে ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০১ সালে পিটার ওয়েন প্রকাশিত টেরেন্স পেটিগ্রিউয়ের লেখা হাওয়ার্ডের জীবনী থেকে। প্রথমদিকে হাওয়ার্ডের বিধবা স্ত্রী অভিনেত্রী হেলেন চেরি এই বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে দাপ্তরিক নথি প্রকাশিত হলে তিনি দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফকে জানান যে হাওয়ার্ডের মা দাবী করেন হাওয়ার্ড মিলিটারি ক্রসধারী ছিলেন। তিনি আরও বলেন যে হাওয়ার্ডের সম্মানসূচক মিলিটারি রেকর্ড ছিল এবং "লজ্জিত হওয়ার মত কিছু ছিল না।"[]

মৃত্যু

সম্পাদনা

হাওয়ার্ড হেপাটিক ও যকৃতের সির্হোসিসে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৮ সালের ৭ জানুয়ারি বার্নেটের আর্কলিতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালের তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Trevor Howard" (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  2. Profile, filmreference.com; accessed 22 July 2016.
  3. "World news Howard: the epitome of British stoicism"The Canberra Times (ইংরেজি ভাষায়)। 62, (19,088)। Australian Capital Territory, Australia। ৯ জানুয়ারি ১৯৮৮। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  4. "Popular star Trevor Howard hides behind beard"The Australian Women's Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। 14, (13)। Australia, Australia। ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। পৃষ্ঠা 36। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  5. "BFI Screenonline: Howard, Trevor (1913-1988) Biography"স্ক্রিন অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  6. "Trevor Howard - Theatricalia"theatricalia.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  7. Arditti, Michael (১০ জুলাই ২০১৬)। "Theatre reviews: French Without Tears and No Villain" (ইংরেজি ভাষায়)। এক্সপ্রেস। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  8. "Trevor Howard details"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ মার্চ ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮ 
  9. Pettigrew Trevor Howard: A Personal Biography, London: Peter Owen, 2001, p. 245

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা